বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাষণ বর্তমান ও ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য অমূল্য সম্পদ।
বঙ্গবন্ধু ও তাঁর ভাষণ নিয়ে দুটি বইয়ের মোড়ক উন্মোচনকালে তিনি বলেন, “তিনি (বঙ্গবন্ধু) প্রতিটি ভাষণে বাংলাদেশকে কীভাবে পরিচালনা করতে হবে তার নির্দেশনা দিয়েছিলেন। তাই, এই ভাষণগুলো আমাদের জন্য অমূল্য সম্পদ”।
বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের সুবর্ণ জয়ন্তী (৫০ বছর) উপলক্ষে বৃহস্পতিবার (৬ এপ্রিল) শুরু হওয়া বিশেষ অধিবেশনের আগে জাতীয় সংসদ ভবনে একাদশ জাতীয় সংসদের কার্য–উপদেষ্টা কমিটির দ্বাদশ বৈঠকে দেওয়া বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
দুটি বইয়ের একটি হলো বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সংসদে দেওয়া ভাষণের সংকলন এবং দ্বিতীয়টি ২০২০ সালে পালিত মুজিব বর্ষ উপলক্ষে অনুষ্ঠিত সংসদের বিশেষ অধিবেশনে আইনপ্রণেতাদের দেওয়া বক্তৃতার সংকলন।
বঙ্গবন্ধুর ভাষণের বই সম্পর্কে শেখ হাসিনা বলেন, সংসদ সদস্য, জনগণ এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য বাংলাদেশ ও এর জনগণকে জানা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
শেখ হাসিনা বলেন, “আমাদের প্রজন্ম বা পরবর্তী প্রজন্ম বাংলাদেশকে বোঝার, বাংলাদেশের মানুষের অবস্থান এবং তাদের আর্থ-সামাজিক অগ্রগতি জানার সুযোগ পাবে (বইটিতে)”।
সংসদের বিশেষ অধিবেশনে সংসদ সদস্যদের দেওয়া বক্তৃতার সংকলনেরও প্রশংসা করেন তিনি।
শেখ হাসিনা বলেন, এটা আমাদের জন্য অত্যন্ত গর্বের বিষয়।
তিনি এ ব্যাপারে স্পিকার, সংসদ সদস্য এবং সংশ্লিষ্ট সকলকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানান।
সংবিধান প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব প্রণীত বাংলাদেশের সংবিধান বিশ্বের সর্বশ্রেষ্ঠ সংবিধান, কারণ এতে সকল স্তরের মানুষের মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করা হয়েছে।
তিনি বলেন, স্বাধীনতার পরপরই জাতির পিতা বাংলাদেশের জনগণ কর্তৃক (১৯৭০ সালে) নির্বাচিত জাতীয় পরিষদ ও প্রাদেশিক পরিষদের সদস্যদের নিয়ে গণপরিষদ (পার্লামেন্ট) গঠন করেছিলেন।
শেখ হাসিনা বলেন, বিশ্ব ইতিহাসে এটি একটি বিরল দৃষ্টান্ত যে বঙ্গবন্ধু মাত্র নয় মাসের মধ্যে একটি সংবিধান প্রণয়ন করে বাঙালি জাতির সামনে উপস্থাপন করেছেন।
তিনি বলেন, “সম্ভবত এটিকে সমগ্র বিশ্বের অন্যতম সেরা সংবিধান হিসেবে বিবেচনা করা হয়”।
শেখ হাসিনা আরও বলেন, এর কারণ হলো সংবিধানে প্রতিটি দৃষ্টিকোণ থেকে দরিদ্র, বঞ্চিত, শোষিত ও নিপীড়িত মানুষের মৌলিক অধিকারের কথা বলা হয়েছে ।
তিনি বলেন, সংবিধানে সুবিধাবঞ্চিতসহ সমাজের সকল স্তরের মানুষের অধিকারও নিশ্চিত করা হয়েছে।
সেই সংবিধানের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে ১৯৭৩ সালের ৭ মার্চ প্রথম সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় এবং সে নির্বাচনে সাতটি আসন ছাড়া সবকটিতেই আওয়ামী লীগ জয়লাভ করে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী।
কার্য উপদেষ্টা সভায় সভাপতিত্ব করেন স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী।