ফিলিপাইন সোমবার তাদের আরো চারটি সামরিক ঘাঁটিকে চিহ্নিত করেছে,যেগুলোতে যুক্তরাষ্ট্র প্রবেশাধিকার পাবে। এর মধ্য দিয়ে ফিলিপাইনে যুক্তরাষ্ট্রের প্রবেশাধিকার পাওয়া ঘাটির সংখ্যা প্রায় দ্বিগুণ হলো। দুই দেশের মধ্যে গঠিত, কয়েক দশকের পুরনো জোটকে এগিয়ে নিতে করা একটি প্রতিরক্ষা চুক্তির আওতায় এই নতুন ঘাঁটি চিহ্নিত করা হয়েছে।
বর্ধিত প্রতিরক্ষা সহযোগিতা চুক্তির (ইডিসিএ) এই সম্প্রসারণ, যুক্তরাষ্ট্রের কাছে ফিলিপাইনের কৌশলগত গুরুত্বকে প্রতিফলিত করে। দক্ষিণ চীনে সাগর এবং স্ব-শাসিত তাইওয়ান নিয়ে চীনের তৎপরতার কারণে সৃষ্ট ক্রমবর্ধমান উদ্বেগের মধ্যে এই চুক্তি কার্যকর হচ্ছে।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার সময়ে ২০২৪ সালে ইডিসিএ স্বাক্ষরিত হয়। এর আওতায়, যৌথ প্রশিক্ষণ, আগাম সরঞ্জাম মোতায়েন এবং রানওয়ে, জ্বালানি মজুদের স্থান ও সামরিক আবাসনের মতো সুবিধা নির্মাণের জন্য, যুক্তরাষ্ট্রকে ফিলিপাইনের ঘাঁটিতে প্রবেশের অনুমতি দেয়। তবে এটি যুক্তরাষ্ট্রের স্থায়ী উপস্থিতি নয়।
সোমবার ঘোষিত ঘাঁটিগুলো হলো সান্তা আনার ক্যামিলো ওসিয়াস নৌ-ঘাঁটি এবং লাল-লো বিমানবন্দর। এই দুটো স্থাপনাই কাগায়ন প্রদেশে অবস্থিত। এছড়া রয়েছে ইসাবেলা প্রদেশের গামুতে ক্যাম্প মেলচোর ডেলা ক্রুজ এবং পালাওয়ানের কাছ অবস্থিত বালাবাক দ্বীপ।
এই স্থানগুলো বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, ইসাবেলা এবং কাগায়ান-এর উত্তর পাশে তাইওয়ানের অবস্থান। আর পালাওয়ান দক্ষিণ চীনে সাগরের বিতর্কিত স্প্র্যাটলি দ্বীপপুঞ্জের কাছে অবস্থিত। এই দ্বীপপুঞ্জে চীন রানওয়ে এবং ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থায় সজ্জিত কৃত্রিম দ্বীপ তৈরি করেছে।
ফিলিপাইনের প্রেসিডেন্ট ফার্দিনান্দ মার্কোস জুনিয়র, যুক্তরাষ্ট্রের প্রবেশাধিকার সম্প্রসারণের সিদ্ধান্ত নেন গত ফেব্রুয়ারিতে। তবে যুক্তরাষ্ট্র এবং চীনের মধ্যে ভবিষ্যতের দ্বন্দ্বে জড়িয়ে পড়ার বিষয়ে উদ্বিগ্ন স্থানীয় সরকার নেতাদের বিরোধিতার কারণে ঘাঁটিগুলোর অবস্থান ঘোষণা করতে বিলম্বিত হয়।
সোমবারের ঘোষণার বিষয়ে মন্তব্য করার জন্য ম্যানিলায় অবস্থিত চীনের দূতাবাসকে অনুরোধ করা হলে তাৎক্ষণিকভাবে কোনো জবাব দেয়নি। যুক্তরাষ্ট্র সেনা মোতায়েন করে উত্তেজনা বৃদ্ধি করছে বলে অভিযোগ করেছে চীন।