অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

ফিলিপাইনে যুক্তরাষ্ট্রের বাহিনীর জন্য কিছু নতুন ঘাঁটি নির্বাচন করা হয়েছে—বলেছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট


ফিলিপাইনের রাজধানী ম্যানিলার একটি বন্দরে ইউএসএস আমেরিকা (এলএইচএ-৬) উভচর আক্রমণ জাহাজের ভেতরের সাধারণ দৃশ্য। ২১ মার্চ, ২০২৩। ফাইল ছবি।
ফিলিপাইনের রাজধানী ম্যানিলার একটি বন্দরে ইউএসএস আমেরিকা (এলএইচএ-৬) উভচর আক্রমণ জাহাজের ভেতরের সাধারণ দৃশ্য। ২১ মার্চ, ২০২৩। ফাইল ছবি।

ফিলিপাইনের প্রেসিডেন্ট ফার্দিনান্দ মার্কোস জুনিয়র বলেছেন, ৪টি নতুন সামরিক ঘাঁটির অবস্থান শিগগিরই প্রকাশ করা হবে। ঘাঁটিগুলোতে পর্যায়ক্রমে যুক্তরাষ্ট্রের ক্রুরা থাকবেন।

বুধবার (২২ মার্চ) ম্যানিলায় মার্কোস সাংবাদিকদেরকে বলেন, ফিলিপাইনের উত্তর ও দক্ষিণাঞ্চলে এবং পশ্চিমাঞ্চলের পালাওয়ান প্রদেশে এসব নতুন ঘাঁটি হবে।

প্রেসিডেন্ট আরও বলেছেন, ঘাঁটিগুলো দেশটির পূর্ব উপকূল রক্ষার ক্ষমতাকে বৃদ্ধি করবে। পূর্ব উপকূলে রয়েছে দেশটির বৃহত্তম দ্বীপ লুজোনের উপকূলরেখা। লুজোন তাইওয়ানের সবচেয়ে কাছের দ্বীপ। বেইজিংয়ের দাবি, স্বশাসিত দ্বীপটি চীনের অংশ।

নতুন ৪টি ঘাঁটি ২০১৪ সালের এনহ্যান্সড ডিফেন্স কো-অপারেশন এগ্রিমেন্টের অংশ, যা বিদ্যমান পাঁচটি ঘাঁটিকেও অন্তর্ভুক্ত করেছে।

দক্ষিণ চীন সাগরে বেইজিংয়ের তৎপরতা এবং তাইওয়ানের পদক্ষেপের প্রতি চীনের ক্রমবর্ধমান দৃঢ়তাকে মোকাবিলা করার জন্য দীর্ঘকালের দুটি মিত্র দেশ ওই চুক্তির সম্প্রসারণ ঘটায়।

বেইজিং ফিলিপাইনে যুক্তরাষ্ট্রের ক্রমবর্ধমান সামরিক উপস্থিতি নিয়ে ওয়াশিংটনের বিরুদ্ধে “আঞ্চলিক শান্তি এবং স্থিতিশীলতা” বিপন্ন করার অভিযোগ করেছে।

ফিলিপাইনের কয়েকজন কর্মকর্তাও নতুন ঘাঁটিগুলোর বিরোধিতা করেছেন। তাদের আশঙ্কা, নতুন ঘাঁটিগুলো তাদেরকে তাইওয়ান নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র এবং চীনের মধ্যে সংঘর্ষ ঘটাবে।

মার্কোস বলেছেন, তিনি স্থানীয় কর্মকর্তাদের সঙ্গে নতুন ঘাঁটিগুলোর গুরুত্ব সম্পর্কে এবং “কেন এটি আসলে তাদের প্রদেশগুলোর জন্য ভালো হবে” সে ব্যাপারে কথা বলেছেন।

এই প্রতিবেদনের কিছু তথ্য এপি ও রয়টার্স থেকে নেওয়া হয়েছে।

XS
SM
MD
LG