চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং তিন দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে সোমবার মস্কোয় পৌঁছেছেন। রাশিয়ার নেতা ভ্লাদিমির পুতিনের বৈঠক করতে তিনি মস্কো সফর করছেন। বৈঠকের আলোচ্যসূচির মধ্যে রয়েছে ইউক্রেনে রাশিয়ার যুদ্ধ এবং চীনের শান্তি প্রস্তাব। গত মাসে চীন রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের অবসানের লক্ষ্যে একটি ১২ দফা পরিকল্পনা তৈরি করেছে। ২০২২ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে রাশিয়ারর আক্রমন শুরু হয়।
বেইজিং-এর মধ্যস্থতায় এক চুক্তির আ্ওতায় ইরান এবং সৌদি আরব সাত বছরের বৈরিতার পর কূটনৈতিক সম্পর্ক পুনঃপ্রতিষ্ঠা করতে যাচ্ছে বলে ঘোষণা দেয়। এর পর শি মস্কো সফরে গেলেন। এর মধ্য দিয়ে এই চীনা নেতার ক্রমবর্ধমান কূটনৈতিক উচ্চাকাঙ্খার প্রতিফণ ঘটে।
ইয়েল ল স্কুলের পল সাই চায়না সেন্টারের ফেলো মরিটজ রুডলফ বলেছেন, চীন ইঙ্গিত দিচ্ছে যে, তারা ভবিষ্যতের শান্তি প্রক্রিয়ায় জড়িত হতে চায়। “চীন বুঝাতে চাইছে যে পশ্চিমের সাথে পুতিনের বৈরিতার সম্পর্ক উচ্চমাত্রায় পৌঁছেছে এবং চীনের ওপর রাশিয়ার নির্ভরশীলতা আরো বেড়েছে।এমন পরিস্থিতিতে শি হতে পারেন শান্তির জন্য মধ্যস্থতা করার উপযুকক্ত মাধ্যম;” এ কথা বলেছেন গ্রান্ড স্ট্র্যাটেজি এট দ্য ইন্সটিটিউট ফর রেস্পন্সিবল স্টেটক্রাফট-এর পরিচালক জর্জ বিবে। প্রতিষ্ঠানটি যুক্তরাষ্ট্রের আবেগহীন পররাষ্ট্র নীতি অবলম্বনের পক্ষে কথা বলে।
গত বছর শীতকালীন অলিম্পিকের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন পুতিন। তখন শি’র সঙ্গে তার দেখা হয়।এছাড়া, গত সেপ্টেম্বরে উজবেকিস্তানে একটি আঞ্চলিক সম্মেলনে যোগ দিলে, শি এবং পুতিনের সর্বশেষ সাক্ষাৎ ঘটে।
মস্কোতে পুতিনের সাথে চীনের প্রেসিডেন্টের বৈঠকের পর, ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেন্সকি ফোনে শি-র সঙ্গে কথা বলবেন।
প্রায় এক বছর আগে রাশিয়া ইউক্রেন আক্রমণ করার পর, এটি হচ্ছে শি-র প্রথম মস্কো সফর। রয়টার্স জানিয়েছে, ইউক্রেন সংঘাত নিয়ে চীন প্রকাশ্যে নিরপেক্ষ অবস্থানে রয়েছে।তবে, রাশিয়ার বিরুদ্ধে আরোপিত পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞার সমালোচনা করছে।
হোয়াইট হাউসের ব্যুরো চিফ প্যাটসি উইদাকুসওয়ারা এবং ভয়েস অফ আমেরিকার ম্যান্ডারিন বিভাগের প্যারিস হুয়াং এই প্রতিবেদন তৈরিতে সহায়তা করেছেন। এই প্রতিবেদনের কিছু তথ্য এপি এবং রয়টার্স থেকে নেয়া হয়েছে।