তাইওয়ানের সামরিক বাহিনী এক প্রতিবেদনে বলেছে, এই বছর তাদের প্রতিরক্ষা ব্যয় চীনের "সম্পূর্ণ অবরোধ" এর জন্য অস্ত্র ও সরঞ্জাম প্রস্তুত করার উপর সর্বাধিক গুরুত্ব দেবে, যার মধ্যে এফ-১৬ বিমানের পার্টস এবং অস্ত্র অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
চীন, যারা তাইওয়ানকে তার নিজস্ব অঞ্চল হিসাবে মনে করে, গত বছর আগস্টে দ্বীপটির চারপাশে যুদ্ধের মহড়ার আয়োজন করে। তারা তাইপেইয়ের উপর দিয়ে ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে এবং যুদ্ধে তাইওয়ানকে কীভাবে বিচ্ছিন্ন করার চেষ্টা করবে, তার অনুকরণে নো-ফ্লাই এবং নো-সেইল জোন ঘোষণা করে।
সংসদীয় বাজেট অনুমোদনের জন্য একটি প্রতিবেদনে, যার একটি অনুলিপি সোমবার রয়টার্স দ্বারা পর্যালোচনা করা হয়েছিল, তাইওয়ানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলেছে, তারা গত বছর কৌশলগত জ্বালানী মজুদ এবং মেরামতের ক্ষমতা পর্যালোচনা শুরু করেছে কিন্তু বিস্তারিত আর কিছুই জানায়নি।
চীনের হুমকি মূল্যায়নের একটি আপডেটে, মন্ত্রক বলেছে, চীনের সামরিক বাহিনী, কৌশলগত চোক পয়েন্ট নিয়ন্ত্রণ এবং বিদেশী বাহিনীর প্রবেশাধিকার অস্বীকার করার লক্ষ্যে যৌথ বাহিনীর অভিযান পরিচালনা করছে।
তবে, চীনের তাইওয়ান বিষয়ক অফিস তাৎক্ষণিকভাবে মন্তব্যের অনুরোধের কোনও জবাব দেয়নি।
যদিও তাইওয়ানকে তার নিয়ন্ত্রণে আনতে চীন কখনোই শক্তি প্রয়োগ করার নীতি থেকে সরে আসেনি।
চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং সোমবার বলেছেন, চীনকে অবশ্যই তার সামরিক বাহিনীকে আধুনিকায়ন করতে হবে যাতে এটি একটি "ইস্পাতের মহাপ্রাচীর" বানাতে পারে।
শি আরো বলেন যে, যখন তাইওয়ানের কথা আসে, তখন চীনকে অবশ্যই স্বাধীনতার পক্ষে এবং বিচ্ছিন্নতাবাদী কার্যকলাপ এবং বহিরাগত শক্তির হস্তক্ষেপের বিরোধিতা করতে হবে।