ইংলিশ চ্যানেল জুড়ে অভিবাসীদের ছোট নৌকায় আগমন বন্ধ করার জন্য পদক্ষেপ নিতে, ব্রিটেন ফ্রান্সকে তিন বছরে প্রায় ৪ কটি ৮০ লাখ পাউন্ড (৫৭ কোটি ৭০ লাখ ডলার) দেবে। এই দুই মিত্র দেশ শুক্রবার (১০ মার্চ) ব্রেক্সিট-পরবর্তী যুগে, কয়েক বছরের তিক্ততা অবসানে এই গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নেয়।
এক যৌথ সম্মেলনে এই অগ্রগতিকে “সংযোগ পুনঃস্থাপনের মুহূর্ত” হিসেবে অভিহিত করেন ম্যাক্রো। এসময় তিনি বলেন যে ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে ব্রিটেনের প্রস্থানের কারণে সম্পর্কে টানাপোড়েন সৃষ্টি হয়েছিলো।
সুনাক বলেছেন, সময় এসেছে “ পুরাতন বন্ধুত্বকে নবায়ন করার”। সুনাক ২০ শতকের গোড়ার দিকে ইউরোপীয় শক্তিগুলোর মধ্যে গঠিত একটি বোঝাপড়া ভিত্তিক অনানুষ্ঠানিক জোটের প্রতি ইঙ্গিত করেন।ঐ অনানুষ্ঠানিক সমঝোতার মধ্য দিয়ে এই দেশগুলোর মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক সহজতর হয়েছিলো।
নতুন চুক্তির অংশ হিসেবে, ব্রিটেন ফ্রান্সে একটি আটক কেন্দ্র প্রতিষ্ঠার তহবিলে সহায়তা করবে। অন্যদিকে, প্যারিস তাদের সৈকতে টহল দেওয়ার জন্য প্রযুক্তির উন্নয়ন ঘটাবে এবং আরো ফরাসি কর্মী মোতায়েন করবে।
শীর্ষ সম্মেলনের পর, ব্রিটিশ জ্বালানি সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান অক্টোপাস এনার্জি বলেছে, তারা আগামী দুই বছরে, ফ্রান্সের পরিবেশ বান্ধব জ্বালানির বাজারে ১০০ কোটি ইউরো (১১০ কোটি ডলার) বিনিয়োগ করবে।দুই দেশ দু’টি জ্বালানি চুক্তি স্বাক্ষর করেছে। নিম্ন কার্বন নিঃসরণের ওপর গুরুত্ব দিয়ে চুক্তিতে পরমানু বিদ্যুৎকে প্রাধান্য দেওয়া হয়।
উভয় নেতা জোর দিয়ে বলেছেন, ইউক্রেনে সামরিক সহায়তা বাড়ানো এবং যদ্ধক্ষেত্রে সামর্থ বাড়ানোর জন্য দেশটির সৈন্যদের প্রশিক্ষণ প্রদান এখন একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। আর যুদ্ধ শেষ করতে যখন আলোচনা শুরু হবে, সেই দিনে ভালো অবস্থানে থাকার জন্যও এই সহায়তা অপরিহার্য।