দক্ষিণ কোরিয়া সোমবার জাপানে জোরপূর্বক যুদ্ধকালীন শ্রমের ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার পরিকল্পনা ঘোষণা করেছে। যার লক্ষ্য এশিয়ার শক্তিধর দেশগুলির সম্পর্কের "দুষ্টচক্রের" অবসান ঘটানো এবং একই সাথে পারমাণবিক শক্তিধর উত্তর কোরিয়াকে মোকাবেলায় সম্পর্ক জোরদার করা।
জাপান এবং যুক্তরাষ্ট্র তাৎক্ষণিকভাবে এই ঘোষণাকে স্বাগত জানিয়েছে। তবে ভুক্তভোগীরা বলছে, টোকিওর কাছে পূর্ণ ক্ষমা চাওয়া এবং জড়িত জাপানি কোম্পানিগুলোর কাছ থেকে সরাসরি ক্ষতিপূরণের দাবি রয়ে গেছে।
জাতিসংঘের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে পারমাণবিক অস্ত্র কর্মসূচি সম্প্রসারণকারী কিম জং উনের উত্তর কোরিয়ার ক্রমবর্ধমান হুমকির মুখে পরে, সিউল ও টোকিও নিরাপত্তা সহযোগিতা জোরদার করেছে।
কিন্তু কোরীয় উপদ্বীপে টোকিওর ১৯১০-৪৫ সালের নৃশংস ঔপনিবেশিক শাসনের কারণে সিউল-টোকিও সম্পর্ক দীর্ঘদিন ধরে টানাপোড়েনের মধ্যে রয়েছে। দেশগুলি ক্ষতিপূরণ এবং ক্ষমার পরিমাণ সম্পর্কে চূড়ান্ত চুক্তিতে পৌঁছাতে পারেনি।
সিউলের তথ্য অনুযায়ী, জাপানের ৩৫ বছরের দখলদারিত্বের সময় প্রায় ৭ লাখ ৮০ হাজার কোরিয়ানকে জোরপূর্বক শ্রমে নিযুক্ত করা হয়।
এই হিসাবের মধ্যে জাপানি সৈন্যদের দ্বারা জোরপূর্বক যৌন দাসত্বে বাধ্য কোরিয়ান নারীদেরকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি।
সিউলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী পার্ক জিন বলেন, টোকিওর সঙ্গে ১৯৬৫ সালের ক্ষতিপূরণ চুক্তি থেকে লাভবান দক্ষিণ কোরিয়ার বড় বড় কোম্পানিগুলোর কাছ থেকে নেওয়া অর্থ, ক্ষতিগ্রস্ত ও তাদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দিতে ব্যবহার করা হবে।
তিনি বলেন, আশা করছি জাপান "জাপানি সংস্থাগুলির স্বেচ্ছাসেবী অবদান এবং গভীর ক্ষমা প্রার্থনার মাধ্যমে আজ আমাদের এই বড় সিদ্ধান্তে ইতিবাচক সাড়া দেবে"।
জাপানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইয়োশিমাসা হায়াশি নতুন পরিকল্পনাকে স্বাগত জানিয়ে সাংবাদিকদের বলেন, এটি “সুস্থ” একটি সম্পর্ক পুনরুদ্ধার করতে সহায়তা করবে।
হায়াশি আরও বলেন, টোকিওর সরকার ১৯৯৮ সালের একটি ঘোষণায় অটল যার মধ্যে ক্ষমা স্বীকার অন্তর্ভুক্ত ছিল।