অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

আইএমএফের বেইলআউট বিলম্বের কারণে পাকিস্তানের অর্থনৈতিক অস্থিরতা বৃদ্ধি


পাকিস্তানের করাচিতে ২৭ ফেব্রুয়ারি সাম্প্রতিক দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির বিরুদ্ধে ধর্মঘটের সময় এক ব্যক্তি বন্ধ দোকানের পাশে বসে।
পাকিস্তানের করাচিতে ২৭ ফেব্রুয়ারি সাম্প্রতিক দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির বিরুদ্ধে ধর্মঘটের সময় এক ব্যক্তি বন্ধ দোকানের পাশে বসে।

আমেরিকান ডলারের বিপরীতে বৃহস্পতিবার পাকিস্তানের মুদ্রার ৭ শতাংশ পতন হয়েছে। বৈদেশিক ঋণ খেলাপি এড়াতেআর্থিক সংকটে থাকা দেশটিকে ঋণ দেওয়া পুনরায় শুরু করতে আন্তর্জাতিক মুদ্রা ভাণ্ডারকে (আইএমএফ) রাজি করানোরজন্য দেশটির সরকার লড়াই করছে।

জানুয়ারি মাসে বৈদেশিক মুদ্রা সংস্থাগুলিকে মুদ্রা বিনিময়ের হারের একটি নির্দিষ্ট সীমা অপসারণের অনুমতি দেওয়ার পরেসাম্প্রতিক সপ্তাহগুলিতে পাকিস্তানি রুপির মান রেকর্ড পরিমাণ কমে যায়। বৃহস্পতিবার পাকিস্তানি রুপির সরকারি মূল্যডলারের বিপরীতে ২৮৭ দশমিক ০৯ পর্যন্ত নেমে তা বন্ধ হয়ে যায়। এর আগের দিন রুপির মূল্য ছিল ২৬৬ দশমিক ১১।

বাজার-নির্ধারিত মুদ্রা বিনিময় হার প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফের সরকারের জন্য আইএমএফ-এর একটি প্রধান দাবি যা ঋণদাতার বোর্ডপাকিস্তানকে ১ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি তহবিলের কিস্তি অনুমোদনের আগেই সম্পন্ন করতে হবে।

এরপর থেকে এই কিস্তিটি সুরক্ষা করতে ইসলামাবাদ ব্যর্থ হয়েছে যা প্রাথমিকভাবে ডিসেম্বর মাসে আইএমএফের ৬.৫বিলিয়ন ডলারের বেইলআউট কার্যক্রমের অংশ হিসাবে দেওয়া হবে বলে আশা করা হয়েছিল।

করাচিভিত্তিক ব্রোকারেজ হাউজ টপলাইন সিকিউরিটিজের কর্মকর্তা মোহাম্মদ সোহেল বলেন, “আইএমএফের অর্থায়নেবিলম্ব মুদ্রা বাজারে অনিশ্চয়তা সৃষ্টি করছে ।”

আন্তর্জাতিক মুদ্রা ভাণ্ডার আইএমএফ-এর (আর্থিক) কার্যক্রম পাকিস্তানের জন্য আন্তর্জাতিক অন্যান্য দ্বিপাক্ষিক এবংবহুপাক্ষিক অর্থায়নের উৎসের মূল চাবিকাঠি। দুই পক্ষের মধ্যকার দীর্ঘ আলোচনা সরকারের আর্থিক অবস্থা এবং দেশটির২২ কোটিরও বেশি জনসংখ্যার ওপর চাপ সৃষ্টি করছে।

পাকিস্তানের বৈদেশিক মুদ্রার মজুদ অনিশ্চিত পর্যায়ে নেমে এসেছে এবং যা এখন মাত্র ৩ বিলিয়ন ডলারের কিছু ওপরে ।

বুধবার প্রকাশিত সরকারি তথ্য অনুযায়ী, মুদ্রাস্ফীতিও ছিল আকাশচুম্বী যা ৩১.৫ শতাংশে পৌঁছায়। খাদ্য ও জ্বালানির দামঅনেক পাকিস্তানিদের সামর্থ্যের বাইরে চলে গেছে।

পাকিস্তানে কয়েক দশক ধরে আর্থিক অব্যবস্থাপনা, দুর্নীতি এবং রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা দেশটির অর্থনীতিকে ঋণখেলাপির দ্বারপ্রান্তে ঠেলে দেওয়ার জন্য দায়ী। বৈশ্বিক জ্বালানি সংকট এবং গত বছরের ভয়াবহ বন্যা এই সংকটকে আরওতীব্র করে তুলেছে ।

XS
SM
MD
LG