যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন মঙ্গলবার কাজাখস্তানের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব এবং আঞ্চলিক অখণ্ডতার প্রতি সমর্থন প্রদানের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ কূটনীতিক হিসেবে তিনিই প্রথম মধ্য এশিয়ায় সফর করছেন।
ব্লিংকেনের মঙ্গলবারের সময়সূচী অনুযায়ী, সি-ফাইভ প্লাস ওয়ান-এর একটি সভায় যোগদানের কথা রয়েছে তার। আঞ্চলিক সহযোগিতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে, কাজাখস্তান, কিরগিজস্তান, তাজিকিস্তান, তুর্কমেনিস্তান এবং উজবেকিস্তানের সমন্বয়ে, ২০১৫ সালে এই কূটনৈতিক সংলাপ প্রতিষ্ঠা করা হয়।
যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা বলছেন, এই সফরটি মিত্রদের সাথে যোগাযোগ ও সম্পর্ক উন্নয় প্রচেষ্টার একটি সুযোগ। কারণ, ইউক্রেন আক্রমণের কারণে যুক্তরাষ্ট্র রাশিয়াকে আরো বিচ্ছিন্ন করার চেষ্টা করছে। গণতন্ত্রের সমর্থকরাও যুক্তরাষ্ট্রকে পদ্ধতিগত সংস্কারের জন্য আহ্বান জানাচ্ছে। তাদের যুক্তি, জবাবদিহিতা, উদার দৃষ্টিভঙ্গী এবং আইনের শাসন এই অঞ্চলের দীর্ঘমেয়াদি নিরাপত্তা এবং সমৃদ্ধি নিশ্চিত করার পূর্বশর্ত।
কাজাখাস্তান এবং উজবেকিস্তান ইউক্রেনে ক্রেমলিনের আগ্রাসনের বিষয়ে স্পষ্টভাবে নিন্দা জ্ঞাপন এড়িয়ে গেলেও, তারা ইউক্রেনের রাশিয়া-সমর্থিত বিচ্ছিন্নতাবাদী অঞ্চলগুলোর স্বাধীনতাকে স্বীকৃতি দিতে অস্বীকার করেছে।আর ঐ অঞ্চলগুলোকে, গত বছরের শেষের দিকে পুতিনের রাশিয়ায় অন্তর্ভুক্ত করার বিষয়টিকেও স্বীকৃতি দেয়নি।
ব্লিংকেনের সফর ঘনিষ্ঠভাবে পর্যবেক্ষণ করছে উজবেক এবং কাজাখ সুশীল সমাজের কর্মীরা। তারা যুক্তরাষ্ট্রকে দেশ দুটির সরকারকে পদ্ধতিগত সংস্কারের জন্য চাপ দিতে বলছে। তাদের যুক্তি, এটি ছাড়া এই প্রজাতন্ত্রগুলো তাদের স্বাধীনতা রক্ষা করাসহ ভূ-রাজনৈতিক চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবেলা করতে সক্ষম হবে না।
যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা বলছেন, ওয়াশিংটন সব সময় সংস্কাকারের পক্ষে থাকবে। তারা বলছেন, কেবল উজবেকিস্তানে নয়, আামাদের যৌথ উদ্যোগ থাকবে একটি “সমৃদ্ধ, নিরাপদ এবং গণতান্ত্রিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠার প্রতি।”
এই প্রতিবেদনের কিছু তথ্য এএফপি থেকে নেয়া হয়েছে।