আফগানিস্তানের তালিবান সোমবার বলেছে, তাদের নিরাপত্তা বাহিনী রাজধানী কাবুলে, গোপন আস্তানায় রাতভর সন্ত্রাসবিরোধী অভিযান চালিয়ে, ইসলামিক স্টেটের দুইজন শীর্ষ কমান্ডারকে হত্যা করেছে।
যুক্তরাষ্ট্র নতুন এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, দক্ষিণ এশিয়ার দেশটিতে প্রায় ৩ হাজার আইএস যোদ্ধা তৎপর এবং তারা সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড পরিচালনা করছে। প্রতিবেদনটি প্রকাশের কয়েক ঘন্টা আগে তালিবানের পক্ষ থেকে এই ঘোষণা আসে।
তালিবান মুখপাত্র জাবিহুল্লাহ মুজাহিদ গভীর রাতে এক বিবৃতিতে বলেছেন, রবিবার গভীর রাতের অভিযানে যারা নিহত হয়েছেন, তাদের মধ্যেে আফগানিস্তানে তৎপর “দায়েশ গোষ্ঠীর গোয়েন্দা এবং অপারেশন প্রধান”ও ছিলেন। তিনি নিহত সন্ত্রাসী নেতাকে ক্বারি ফতেহ বলে শনাক্ত করেছেন।
দায়েশ বা ইসলামিক স্টেট-খোরাসান (আইএস-কে) ইসলামিক স্টেটের একটি আফগান সহযোগী এবং তালিবানের অন্যতম প্রধান প্রতিপক্ষ। মুজাহিদ বলেন, কাবুলে কূটনৈতিক মিশন, মসজিদ এবং অন্যান্য লক্ষ্যস্থলে সাম্প্রতিক হামলার পরিকল্পনাকারী ছিলেন ফতেহ। তবে, আইএস-কে তাদের শীর্ষ নেতাকে হত্যা করার তালিবানের দাবির বিষয়ে তাৎক্ষণিকভাবে কোনো মন্তব্য করেনি।
সোমবার মুজাহিদ তার বিবৃতিতে নিশ্চিত করেছেন, এই মাসের শুরুতে তালিবানের এক সন্ত্রাসবিরোধী অভিযানে, ভারতীয় উপমহাদেশের জন্য আইএস-খোরাসানের প্রধান ইজাজ আমিন আহাঙ্গার এবং তার দুই কমান্ডার নিহত হয়েছেন। বিশদ বিবরণ না দিয়েই তিনি বলেন, সাম্প্রতিক দিনগুলোতে “বিদেশীসহ বেশ কয়েকজন দায়েশ সদস্যকে আটক করা হয়েছে।
আইএস-খোরাসান-কে যুক্তরাষ্ট্র ইসলামিক স্টেট-এর একটি “বিপজ্জনক” সহযোগী হিসেবে অভিহিত করেছে। এছাড়া, যুক্তরাষ্ট্র তালিবানের সন্ত্রাসবিরোধী প্রচেষ্টার কার্যকারিতা সম্পর্কে এখনো সন্দিহান।
আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় এখনো তালিবানকে আফগানিস্তানের বৈধ শাসক হিসেবে স্বীকৃতি দেয়নি। আন্তর্জাতিক সমপ্রদায়, তালিবানের প্রতি মানবাধিকারের প্রতি সম্মান জানানো, নারীদের ওপর আরোপিত শিক্ষা এবং কাজের নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার, সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করা এবং রাজনৈতিকভাবে অন্তর্ভুক্তিমূলক সরকারের মাধ্যমে দেশ পরিচালনার আহবান জানিয়েছে।