ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেন্সকি শুক্রবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) বলেছেন, তাদের জাতি রাশিয়ার বিরুদ্ধে বিজয়ী হবে। এদিকে, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ দ্বিতীয় বর্ষে পদার্পন করলো।অথচ, দৃশ্যত যুদ্ধের কোনো সমাপ্তির সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে না।
অন্যদিকে, শুক্রবার হোয়াইট হাউজ বলেছে, তারা ব্যাংক খাত, খনি এবং প্রতিরক্ষা খাত লক্ষ্য করে নতুন নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে যাচ্ছে। এই নিষেধাজ্ঞার আওতায় থাকবে রাশিয়ার যুদ্ধকে সমর্থনকারী ইউরোপ, এশিয়া এবং মধ্যপ্রাচে সক্রিয়, রুশ এবং তৃতীয় দেশের ২০০-র বেশি ব্যক্তি এবং সংস্থা।এছাড়া, শুক্রবার হোয়াইট হাউজ ইউক্রেনকে অতিরিক্ত ২০০ কোটি ডলার সহায়তা প্রদানের ঘোষণা দিয়েছে।
বৃহস্পতিবার জাতিসংঘ অবিলম্বে এবং নিঃশর্তভাবে রাশিয়ার সেনা প্রত্যাহারের দাবিতে একটি প্রস্তাব অনুমোদন করেছে। অন্যদিকে, শুক্রবার চীন যুদ্ধবিরতি এবং রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে শান্তি আলচনা শুরুর আহ্বান জানিয়েছে। এটি চীনের ১২ দফা প্রস্তাবের অংশ।প্রস্তাবে রাশিয়ার ওপর পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞার অবসানেরও আহ্বান জানানো হয়।আর, বেসামরিক অবকাঠামোর ওপর আক্রমণ প্রতিরোধ, পারমাণবিক স্থাপনার নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং ত্রাণ সহায়তা প্রদানের জন্য করিডোর স্থাপনের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে ঐ প্রস্তাবে।
সাম্প্রতিক লড়াইয়ে মস্কোর বাহিনী বাখমুতকে ঘিরে ফেলার চেষ্টায় অগ্রগতি অর্জন করেছে। ইউক্রেনের সামরিক বাহিনীর মুখপাত্র ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ওলেক্সি গ্রোমভ বলেন, “মস্কো, কিয়েভের বাহিনীকে নিঃশেষ করতে, তাদের জনবল সুবিধা ব্যবহার করার চেষ্টা করছে।”
ইউক্রেন বলেছে, রাশিয়ার সৈন্যরা ক্রেমিনার কাছে উত্তরে এবং ভুলেদার দক্ষিণে ইউক্রেনের প্রতিরক্ষা ব্যূহ ভেদ করতে ব্যর্থ হয়েছে। সেখানে রুশ পক্ষ খোলা মাঠে হামলা চালালে, ইউক্রেন পক্ষ ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির মুখে পড়ে।
এই প্রতিবেদনের কিছু তথ্য এপি, এএফপি এবং রয়টার্স থেকে নেয়া হয়েছে।