জাতিসংঘের চারটি নেতৃস্থানীয় সংস্থা এবং বিশ্বব্যাংকের নতুন একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিশ্বে প্রতি ২ মিনিটে একজন নারী গর্ভাবস্থায় বা প্রসবের সময় মারা যান। অথচ এসব মৃত্যুর বেশির ভাগই প্রতিরোধযোগ্য।
“ট্রেন্ডস ইন ম্যাটারনাল মর্টালিটি: ২০০০ টু ২০২০” শিরোনামের এই প্রতিবেদনটি ডব্লিউএইচও, ইউনিসেফ এবং ইউএনএফপিএ বিশ্বব্যাংক গ্রুপ ও ইউএনডিইএসএ/জনসংখ্যা বিভাগের সাথে তৈরি করে।
স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা বলেছেন, প্রতিবেদনে উপস্থাপিত তথ্যগুলো বিশ্ব নেতাদের জন্য একটি “ওয়েকআপ কল” হওয়া উচিত যাতে তারা স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থায় বিনিয়োগ করে মাতৃমৃত্যুর অবসান ঘটাতে পারেন এবং এমন মৃত্যুর জন্য দায়ী সামাজিক ও অর্থনৈতিক বৈষম্য বিলুপ্ত করেন।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২০ সালে বিশ্বজুড়ে আনুমানিক ২ লাখ ৮৭ হাজার মায়ের মৃত্যু হয়েছে। এই সংখ্যা প্রতিদিন ৮০০ জনের মৃত্যুর সমান বা প্রতি ২ মিনিটে একটি মৃত্যুর সমান।
ডব্লিউএইচওর সর্বজনীন স্বাস্থ্য কভারেজের সহকারী মহাপরিচালক অংশু ব্যানার্জি বলেছেন, “যে দেশগুলোতে নারীর অধিকার ক্ষুণ্ণ হয় সেখানে বেশি মাতৃমৃত্যু দেখা যায়”।
মাতৃমৃত্যুর প্রধান কারণগুলোর মধ্যে রয়েছে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ, উচ্চ রক্তচাপ, গর্ভাবস্থায় সংক্রমণ, অনিরাপদ গর্ভপাত থেকে জটিলতা এবং এইচআইভি/এইডস ও ম্যালেরিয়ার মতো অন্তর্নিহিত রোগ।
অংশু ব্যানার্জি বলেন, তবে প্রায় সকল মাতৃমৃত্যুই প্রতিরোধযোগ্য।
জাতিসংঘের জনসংখ্যা তহবিলের নির্বাহী পরিচালক নাটালিয়া কানেম বলেন, গর্ভাবস্থায় এবং সন্তান প্রসবের সময় বহুসংখ্যক নারী অকারণে মারা যাচ্ছেন যা কি না অগ্রহণযোগ্য।
তিনি বলেন, “প্রতিরোধযোগ্য মাতৃমৃত্যু বন্ধ করার জন্য আমাদের কাছে সরঞ্জাম, জ্ঞান ও সংস্থান রয়েছে। আমাদের এখন প্রয়োজন রাজনৈতিক সদিচ্ছা”।