রাশিয়া ও চীন বুধবার ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের সূচনা করেছে। রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন, দুই দেশের মধ্যকার সম্পর্ক “নতুন উচ্চতায়” পৌঁছেছে।তবে, যুক্তরাষ্ট্র এ বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে এবং বলেছে, ইউক্রেনের বিরুদ্ধে যুদ্ধের প্রচেষ্টায় সহায়তা করতে, মস্কোকে অস্ত্র সরবরাহ করতে পারে বেইজিং।
চীন ইউক্রেনে রাশিয়ার বছরব্যাপী আগ্রাসনের সমালোচনা করতে অস্বীকার করলেও, মস্কোর বাহিনীকে সামরিক সহায়তা প্রদানে অস্বীকৃতি জানিয়েছে। ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বলেন, বেইজিং-এর প্রতিনিধিরা ইতোমধ্যেই বিষয়টির নিষ্পত্তি করেছেন এবং “আসলে, দৃঢ়ভাবে এটি প্রত্যাখ্যান করেছেন। এখানে আর কিছু বলার নেই।”
তবে, পুতিন চীনের শীর্ষ কূটনীতিক ওয়াং ইকে ক্রেমলিনে স্বাগত জানিয়েছেন। তাকে বলেছেন, তিনি চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং-এর মস্কো সফরের জন্য উন্মুখ হয়ে আছেন। পুতিন বলেন, দুই দেশের মধ্যকার দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য শীঘ্রই বার্ষিক ২০ হাজার কোটি ডলারে পৌঁছাতে পারে, যা গত বছরের সাড়ে ১৮ হাজার ডলারের বাণিজ্যের চেয়ে বেশি।
ব্লিংকেন উল্লেখ করেন যে চীন রাশিয়াকে অস্ত্র সরবরাহ করছে বলে যুক্তরাষ্ট্রের আশঙ্কা করছে।এর পর, ইউক্রেনকে সমর্থনকারী পশ্চিমা জোটের নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য ওয়াশিংটনের নিন্দা করে চীন।
ইউক্রেনের যুদ্ধকে কেন্দ্র করে ওয়াশিংটন এবং অন্য দু দেশের মধ্যে টানাপড়েন চলছে। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এই সপ্তাহে ইউক্রেন এবং পোল্যান্ড সফরে পুতিনের আগ্রাসনের কঠোর সমালোচনা করেন; সম্পর্কের টানাপেড়েনে এরও প্রভাব পড়ে। রেব্রুয়ারির শুরুতে যুক্তরাষ্ট্রের মূল ভূখণ্ডে একটি গুপ্তচর বেলুন পাঠানোর জন্য বাইডেন সম্প্রতি বেইজিং-এর নিন্দা করেন।
এদিকে মঙ্গলবার পুতিন ওয়াশিংটনের সাথে অবশিষ্ট পারমাণবিক অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ চুক্তিতে রাশিয়ার অংশগ্রহণ স্থগিত করেছেন।
এই প্রতিবেদনের কিছু তথ্য এপি এবং রয়টার্স থেকে নেয়া হয়েছে।