বতসোয়ানা সোমবার প্রকাশ করেছে, ২০২২ সাল নাগাদ পাঁচ বছরের মধ্যে গণ্ডার শিকারের মাত্রা বৃদ্ধি পেয়েছে; বিপন্ন প্রজাতিটির প্রায় এক তৃতীয়াংশ নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে।
পর্যটন মন্ত্রী ফিলদা কেরেং পার্লামেন্টে বলেন, ২০১৮ সাল থেকে গত বছর পর্যন্ত সব মিলিয়ে ১৩৮টি গণ্ডার হত্যা করা হয়েছে।
প্রতিবেশী দক্ষিণ আফ্রিকা ঐতিহ্যবাহী গণ্ডার শিকারের একটি হটস্পট। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে জাতীয় উদ্যানগুলোতে টহল বৃদ্ধির কারণে প্রাণীদেরকে হত্যার সংখ্যা ক্রমাগতভাবে হ্রাস পেয়েছে। এর ফলে শিকারীরা অন্যান্য অঞ্চলে শিং খুঁজতে বাধ্য হচ্ছে।
গণ্ডার শিকার এশিয়ার চাহিদার কারণে চালু রয়েছে, সেখানে শিং-এর কথিত থেরাপিউটিক গুণের জন্য ঐতিহ্যগত ওষুধে ব্যবহার করা হয়।
বতসোয়ানা তাদের গণ্ডারের সংখ্যা প্রকাশ করে না, তবে সরকার গত বছর পানামায় কনভেনশন অন ইন্টারন্যাশনাল ট্রেড ইন এন্ডেনজার্ড স্পিসিস (সাইটস) উপস্থাপিত এক নথিতে দেখা যায়, সারা দেশে আনুমানিক ২৮৫টি সাদা গণ্ডার এবং ২৩টি কালো গণ্ডার রয়েছে।
২০১৯ সালে দেশটিতে মাত্র ৪০০টির কম গণ্ডারের আবাস ছিল। রাইনো কনজারভেশন বতসোয়ানা অনুসারে, এগুলোর বেশিরভাগই উত্তর ওকাভাঙ্গো ডেল্টার ঘাসযুক্ত সমভূমিতে বিচরণ করতো।
অন্য একটি সরকারি নথি অনুসারে, বতসোয়ানা সাম্প্রতিক বছরগুলোতে চোরাশিকারিদের কাছে তাদের আবেদন হ্রাসে গন্ডারের শিং কাটা শুরু করেছিল, কিন্তু এটি কাঙ্ক্ষিত প্রভাব ফেলেনি কারণ থেকে যাওয়া শিং-এর স্টাম্প এখনো শিকারীদের জন্য মূল্যবান।
রেঞ্জার্স, আইন প্রয়োগকারী সংস্থা এবং বেসরকারি সংস্থাগুলো গন্ডার রক্ষার জন্য আকাশ এবং স্থল টহল জোরদার করেছে।