অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

ইরানে মুদ্রার দাম রেকর্ড পরিমাণ নেমে গেছে


রাজধানী তেহরানে একটি এটিএম থেকে এক ব্যক্তি ইরানি রিয়াল তুলছেন। ৩১ জুলাই, ২০১৮। ফাইল ছবি।
রাজধানী তেহরানে একটি এটিএম থেকে এক ব্যক্তি ইরানি রিয়াল তুলছেন। ৩১ জুলাই, ২০১৮। ফাইল ছবি।

সোমবার যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি ডলারের বিপরীতে ইরানের মুদ্রার মূল্য ছিল ৫ লাখ রিয়ালের বেশি। কারণ বাজারের অংশগ্রহণকারীরা নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের কোনো সম্ভাবনা দেখতে পাচ্ছেন না।

বনবাস্ট ডট কমের মতে যুক্তরাষ্ট্রের ডলারের বিপরীতে ইরানি রিয়াল ৫ লাখ ১ হাজার ৩শ-র নতুন সর্বনিম্ন রেকর্ডে নেমে গেছে। ওয়েবসাইটটি ইরানি এক্সচেঞ্জ থেকে সরাসরি তথ্য সংগ্রহ করে থাকে।

প্রায় ৫০ শতাংশ হারে মূল্যস্ফীতির সম্মুখীন ইরানিরা তাদের সঞ্চয়ের জন্য নিরাপদ আশ্রয় খুঁজছে। তারা ডলার, অন্যান্য কঠিন মুদ্রা বা সোনা কিনছে যা রিয়ালের আরও দর পতনের দিকে ইঙ্গিত করছে।

২০১৮ সালে প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা পুনর্বহাল করায় তেহরানের তেল রপ্তানি এবং বৈদেশিক মুদ্রায় তাদের প্রবেশগম্যতা সীমিত করে ইরানের অর্থনীতিকে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে।

গত সেপ্টেম্বর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের বিনিময়ে তেহরানের পারমাণবিক কর্মসূচি রোধে ইরান এবং বিশ্বশক্তির মধ্যকার পরমাণু আলোচনা স্থবির হয়ে পড়েছে; যা ইরানের ভবিষ্যতের জন্য অর্থনৈতিক প্রত্যাশার আরও অবনতি ঘটাচ্ছে। বনবাস্ট ডট কমের মতে, গত ছয় মাসে ইরানের মুদ্রার মূল্য প্রায় ৬০ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে।

এদিকে কেন্দ্রীয় ব্যাংক বলেছে, এটি বৈদেশিক মুদ্রার সরবরাহ সহজ করতে এবং দাপ্তরিক লেনদেনের পরিমাণ বাড়াতে নতুন একটি ফরেইন এক্সচেঞ্জ কেন্দ্র খুলছে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর মোহাম্মদ রেজা ফারজিন সোমবার রাষ্ট্রীয় টিভিকে বলেন, “বিনিময়ের নির্ধারিত এই হারটি বাজারের রেটে পরিণত হবে। দেশের আর্থিক পরিস্থিতি সম্পর্কে আমাদের মূল্যায়নকে প্রতিফলিত করে না- এমন প্রত্যাশার কারণগুলো থেকে এটির মুক্ত হওয়া উচিত।”

XS
SM
MD
LG