উত্তর কোরিয়া শুক্রবার হুঁশিয়ারি দিয়েছে যে, যুক্তরাষ্ট্র এবং দক্ষিণ কোরিয়া তাদের পরিকল্পিত যৌথ সামরিক মহড়া নিয়ে এগিয়ে গেলে, উত্তর কোরিয়া নজিরবিহীন প্রতিক্রিয়া দেখাবে। উত্তর কোরিয়ার সাম্প্রতিক অস্ত্র পরীক্ষার প্রতিক্রিয়ায়, এই যৌথ মহড়ার বিষয়ে দ্রুত পরিকল্পনা করা হয়।
রাষ্ট্র পরিচালিত কোরিয়ান সেন্ট্রাল নিউজ এজেন্সি প্রকাশিত মন্তব্যে বলা হয়েছে, উত্তর কোরিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রক মনে করছে যে যুক্তরাষ্ট্র-দক্ষিণ কোরিয়া তাদের পরিকল্পিত মহড়ার বিষয়ে এগিয়ে গেলে, কোরীয় উপদ্বীপ “ক্রমবর্ধমান উত্তেজনার মারণ-ঘূর্ণিতে নিমজ্জিত হবে।”
এর আগে, শুক্রবার দক্ষিণ কোরিয়ার সামরিক বাহিনী ঘোষণা করেছে, তারা বুধবার পেন্টাগনে একটি “টেবলটপ এক্সারসাইজ” (প্রকৃত মহড়ার বিষয়ে অনুশীলন আলোচনা) করবে। আর, এটি হবে উত্তর কোরিয়ার পারমাণবিক হামলার প্রতি প্রকৃত মহড়ারা অনুরূপ।
সোওলের প্রতিরক্ষা মন্ত্রক আরো বলেছে, আলোচনা-ভিত্তিক মহড়ার পর, দক্ষিণ-পূর্ব যুক্তরাষ্ট্রের জর্জিয়া রাজ্যে যুক্তরাষ্ট্রের নৌবাহিনীর একটি ঘাঁটি পরিদর্শন করা হবে। ঐ ঘাঁটিতে যুক্তরাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ পারমাণবিক সাবমেরিনগুলো রাখা হয়েছে। এই মহড়ার উদ্দেশ্য হলো দক্ষিণ কোরিয়ার কর্মকর্তাদেরকে আরও ভালো ধারণা দেওয়া যে, তাদের মিত্র যুক্তরাষ্ট্র কীভাবে উত্তর কোরিয়ার সম্ভাব্য পারমাণবিক হামলার প্রতিক্রিয়া জানাবে।
দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইওলসহ দেশটির কর্মকর্তারা, দক্ষিণ কোরিয়ার প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা প্রতিশ্রুতির কার্যকারিতা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন।
জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের বেশকিছু প্রস্তাবের আওতায়, উত্তর কোরিয়ার জন্য যে কোনো ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র সংশ্লিষ্ট কার্যকলাপ নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্র, উত্তর কোরিয়ার সাম্প্রতিক পরীক্ষাগুলোর পর, নিরাপত্তা পরিষদ যাতে উত্তর কোরিয়ার বিরুদ্ধে অতিরিক্ত ব্যবস্থা নেয়, সে উদ্যোগ নিয়েছে।তবে, চীন এবং রাশিয়া জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে এ বিষয়ে ভেটো প্রদান করে এবং এ ধরণের প্রচেষ্টায় বাধা দেয়।চীন এবং রাশিয়া উত্তর কোরিয়ার বৃহত্তম আন্তর্জাতিক পৃষ্ঠপোষক।