ইউনিসেফ বৃহস্পতিবার সতর্ক করে দিয়ে বলেছে, হাইতির স্কুলগুলোকে আগে ক্যারিবীয় দেশটির অস্থিরতা থেকে নিরাপদ আশ্রয়স্থল হিসেবে বিবেচিত করা হতো তবে এখন সেগুলো সহিংস গোষ্ঠীগুলোর টার্গেটে পরিণত হয়েছে।
জাতিসংঘের সংস্থাটি জানিয়েছে, গত অক্টোবর মাসে স্কুলবর্ষ শুরু হওয়ার পর থেকে ৭২টি স্কুলে অপহরণ, লন্ডভন্ড করা ও লুটপাটসহ সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে যা এক বছর আগের তুলনায় নয়গুণ বেড়েছে।
অংশীদার গোষ্ঠীগুলির প্রতিবেদনের উদ্ধৃতি দিয়ে ইউনিসেফ বলেছে , “এর মধ্যে অন্তত ১৩টি স্কুল সশস্ত্র গোষ্ঠীর লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হয়েছে, একটি স্কুলে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়েছে, এক শিক্ষার্থী প্রাণ হারিয়েছে এবং অন্তত দুই জন কর্মীকে অপহরণ করা হয়েছে”।
ডাকাতির সময় ডেস্ক, কম্পিউটার, ব্যাটারি ও সোলার প্যানেলসহ বিভিন্ন ধরনের সরঞ্জাম তারা নিয়ে গেছে।
ইউনিসেফ জানিয়েছে, হাইতির অগণিত শিশুর জীবনধারণের ন্যূনতম খাদ্য হিসেবে স্কুলের টিফিনের জন্য ব্যবহৃত চাল, ময়দা ও ভুট্টার বস্তা এবং ক্যান্টিনের সরঞ্জামও চুরি করে নিয়ে গিয়েছে।
তারা আরও সতর্ক করেছে যে দেশে ক্রমবর্ধমান অস্থিতিশীল অবস্থার কারণে সশস্ত্র দুষ্কৃতিচক্রগুলি অনেক অঞ্চলের নিয়ন্ত্রণ দখল করে নিয়েছে ফলে শিশুদের স্কুলে যাওয়া হুমকির মুখে পড়েছে।
ইউনিসেফ ভবিষ্যদ্বাণী করেছে “সহিংসতা থেকে স্কুলগুলিকে রক্ষা করার জন্য জরুরি পদক্ষেপ না নিলে যে জুনের শেষ নাগাদ শিক্ষার্থীরা অন্তত ৩৬ দিন স্কুলের ক্লাস হারাবে।” বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়েছে, গত অক্টোবর থেকে এক চতুর্থাংশেরও বেশি স্কুল চালু হয়নি।
হাইতির ইউনিসেফের প্রতিনিধি ব্রুনো মায়েস বলেন, "যে শিশু স্কুলে যেতে ভয় পায়, তার সশস্ত্র গোষ্ঠীতে নিয়োগ করার ঝুঁকি বেশি থাকে।