রাশিয়ার আগ্রাসনের পরে সংঘাতে থাকা দেশগুলোকে অস্ত্র না দেয়ার নীতি পরিবর্তন করেছে এমন অন্যান্য দেশগুলোর কথা উল্লেখ করে নেটোর মহাসচিব জেন্স স্টলটেনবার্গ সোমবার দক্ষিণ কোরিয়াকে ইউক্রেনের প্রতি সামরিক সহায়তা বাড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন।
স্টলটেনবার্গ সোওলে রয়েছেন। এটি সফরের প্রথম স্থান, এরপর তিনি জাপানে যাবেন। তার এই সফরের লক্ষ্য ইউক্রেনের যুদ্ধের মুখে এবং চীনের সাথে ক্রমবর্ধমান প্রতিযোগিতার পরিপ্রেক্ষিতে যুক্তরাষ্ট্রের মিত্রদের সাথে সম্পর্ক জোরদার করা।
দক্ষিণ কোরিয়ার উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সাথে বৈঠকে স্টলটেনবার্গ যুক্তি দেন যে, ইউরোপ এবং উত্তর আমেরিকার ঘটনাসমূহ অন্যান্য অঞ্চলের সাথে পরস্পর সংযুক্ত এবং নেটো এশিয়ায় অংশীদারিত্ব বৃদ্ধির মাধ্যমে বৈশ্বিক হুমকি মোকাবিলা করতে সহায়তা করতে চায়।
বেইজিং-এর ক্রমবর্ধমান সামরিক সক্ষমতা এবং এই অঞ্চলে জবরদস্তিমূলক আচরণের কথা উল্লেখ করে স্টলটেনবার্গ বলেছেন,যদিও চীন নেটোর প্রতিপক্ষ নয়, তবে দেশটি নেটোর এজেন্ডায় “অনেক বেশি” প্রাধান্য পাচ্ছে।
সোমবার রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমে প্রচারিত এক বিবৃতিতে উত্তর কোরিয়া স্টলটেনবার্গের সফরকে “সংঘাত এবং যুদ্ধের পূর্বাভাস বলে অভিহিত করেছে কারণ তা এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে একটি ‘নতুন স্নায়ু যুদ্ধের’ কালো মেঘ নিয়ে এসেছে।”
গত বছর দক্ষিণ কোরিয়া নেটোতে তাদের প্রথম কূটনৈতিক মিশন খুলেছে। তারা অস্ত্র বিস্তার রোধ, সাইবার প্রতিরক্ষা, সন্ত্রাসবাদ দমন, দুর্যোগ প্রতিক্রিয়া এবং অন্যান্য নিরাপত্তার ক্ষেত্রে সহযোগিতা আরও গভীর করার অঙ্গীকার করেছে।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী লয়েড অস্টিনের দক্ষিণ কোরিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রী লি জং-সুপের সাথে আলোচনা করার জন্য সোমবার সোওলে আসার কথা ছিল এমন এক সময়ে যখন নেটো প্রধান দক্ষিণ কোরিয়া সফর করেন।