অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

মিয়ানমারে নতুন করে আফিম উৎপাদন বেড়েছে


ফাইল - কায়াহ রাজ্যের বাইরে একটি আফিম ক্ষেতে কাজ করার সময় এক ব্যক্তি আফিম সংগ্রহ করছেন৷ মিয়ানমার, লোইকাউ, ৩০ নভেম্বর, ২০১৬ ।
ফাইল - কায়াহ রাজ্যের বাইরে একটি আফিম ক্ষেতে কাজ করার সময় এক ব্যক্তি আফিম সংগ্রহ করছেন৷ মিয়ানমার, লোইকাউ, ৩০ নভেম্বর, ২০১৬ ।

জাতিসংঘের সর্বশেষ তথ্য অনুসারে, প্রায় এক দশক উৎপাদন হ্রাসের পর নিষিদ্ধ এই ফসলের দাম বৃদ্ধি এবং অর্থনৈতিক মন্দার মধ্যে মিয়ানমারের কৃষকরা আবারও আফিম পপি চাষ করছে।

জাতিসংঘের মাদকদ্রব্য ও অপরাধ বিষয়ক কার্যালয় বৃহস্পতিবার জারি করা এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে ২০০২ সালে মিয়ানমারের পপি ফসলের উপর নজরদারি শুরু করার পর থেকে ফলনও সবচেয়ে বেশি হয়েছে। এর কারণ সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলি হেরোইন কিনে নিয়ে দেশের বাইরে পাচার করে এক নতুন বিনিয়োগে নেমেছে। এই অঞ্চলের বেশিরভাগ মেথাএমফেটামিন সরবরাহ করার পাশাপাশি, আফগানিস্তানের পর মিয়ানমার বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম আফিম উৎপাদনকারী এবং পূর্ব ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার বেশিরভাগ দেশের প্রধান উৎস।

ইউএনওডিসি'র বৃহস্পতিবারের প্রতিবেদ়ন,মিয়ানমারের আফিম জরিপ ২০২২ অনুযায়ী দেশটির কৃষকরা গত বছর আনুমানিক ৪০,১০০ হেক্টর জমিতে পপি চাষ করেছে যা ২০২১ সালের তুলনায় ৩৩% বেশি। সংস্থাটি ২০১৩ সাল থেকে মিয়ানমারে সবচেয়ে বেশি পপি চাষের কথা জানিয়েছে। সে সময় সর্বোচ্চ, ৫৭,৮০০ হেক্টর জমিতে পপি চাষ হয়েছিল। ২০২০ সালে ৩০,০০০ হেক্টরের নিচে নেমে এসেেছিল।

XS
SM
MD
LG