বৃহস্পতিবার প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন অনুসারে, প্রতি বছর প্রায় ২০০ কোটি টন কার্বন ডাই অক্সাইড বায়ুমণ্ডল থেকে অপসারিত হচ্ছে, তবে নতুন নতুন প্রযুক্তিতে ক্রমবর্ধমান বিনিয়োগ সত্ত্বেও এর প্রায় পুরোটাই বনের গাছগাছালির মাধ্যমে সম্পন্ন হয়।
অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটির নেতৃত্বে নিরপেক্ষ এই প্রতিবেদনে বিশ্ব কতটা কার্বন ডাই অক্সাইড অপসারণ করছে এবং আরও কী পরিমাণ অপসারণ করা প্রয়োজন তা মূল্যায়ন করে।
এক হিসাব অনুযায়ী, প্যারিস চুক্তিতে ২০৫০ সালের মধ্যে তাপমাত্রাকে প্রাক-শিল্পায়ন যুগের ওপরে ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস নিচে নিয়ে যাওয়ার যে লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করা হয়, তা অর্জনে যে পরিমাণ কার্বন ডাই অক্সাইড অপসারণ করা প্রয়োজন তা নতুন প্রযুক্তি থেকে ১৩শ গুণ অপসারণ এবং গাছ ও মাটির দ্বিগুণ ব্যবহারের মাধ্যমে অর্জন করা সম্ভব।
কার্বন ডাই অক্সাইড গ্যাস অপসারণের মধ্যে রয়েছে বায়ুমণ্ডলের গ্রিনহাউস নিয়ন্ত্রণ করা এবং সেগুলোকে স্থলে, সমুদ্রে, ভূতাত্ত্বিক গঠনে বা পণ্যগুলোতে দীর্ঘ সময়ের জন্য সংরক্ষণ করা।
আজ পর্যন্ত সফলভাবে কার্বন ডাই অক্সাইড অপসারণের প্রায় সবটুকুই হয়েছে গাছ লাগানো এবং ভালোভাবে মাটির সংরক্ষণ ও পরিচালনার মাধ্যমে।
প্রতিবেদন অনুসারে, ২০২০ সাল থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত নতুন কার্বন ডাই অক্সাইড অপসারণের জন্য বিশ্বব্যাপী প্রায় ২০ কোটি ডলার বিনিয়োগ করা হয়েছে। ২০১০ সাল থেকে প্রায় ৪ কোটি ডলার জনসাধারণের অর্থায়নে করা গবেষণা ও উন্নয়নে বিনিয়োগ করা হয়েছে।