ইউক্রেনে যুদ্ধ ও প্রায় থমকে থাকা ফ্রন্টলাইন পরিস্থিতিকে নতুন ঘোষিত সামরিক সরঞ্জামের মাধ্যমে পরিবর্তনের চেষ্টা করছে যুক্তরাষ্ট্র। তারা আশা করছে যে এমন সরঞ্জাম রুশ বাহিনীর বিরুদ্ধে ইউক্রেনের লড়াইয়ে নতুন গতিবেগ সঞ্চার করতে পারবে। পেন্টাগনের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বুধবার এসব কথা বলেন।
তবে পেন্টাগনের নীতি বিষয়ক সর্বোচ্চ উপদেষ্টা কলিন কাল বলেন যে, ইউক্রেনের অনুরোধ মেনে উচ্চ জ্বালানী চাহিদা সম্পন্ন এম-১ এব্র্যামাস মেইন ব্যাটল ট্যাংক পাঠাতে পেন্টাগন এখনও রাজি না।
কাল বলেন, “আমার মনে হয় না যে আমরা এখনও তেমন পরিস্থিতিতে পৌঁছেছি। এব্র্যামস ট্যাংক অত্যন্ত জটিল একটি সরঞ্জাম। এটি ব্যয়বহুল। এটি [চালনার] প্রশিক্ষণ দেওয়া কষ্টসাধ্য। এটিতে একটি জেট ইঞ্জিন রয়েছে।” সবেমাত্র ইউক্রেনে এক সফর থেকে ফিরে এসেছেন কলিন কাল।
ইউক্রেনের জন্য সামরিক সহায়তা সমন্বয় করতে, জার্মানিতে অবস্থিত যুক্তরাষ্ট্রের র্যামস্টিন বিমানঘাঁটিতে এই সপ্তাহে অনুষ্ঠিতব্য ডজনকয়েক দেশের প্রতিরক্ষা কর্মকর্তাদের বৈঠকের আগে দিয়ে কাল এমন মন্তব্য করলেন।
রুশ বাহিনীর বিরুদ্ধে নিজেদের প্রতিরক্ষায় সহায়তা করতে ইউক্রেনকে প্রায় ২,৪০০ কোটি ডলার দেওয়ার অঙ্গীকার করেছে যুক্তরাষ্ট্র। এর মধ্যে এই মাসে ঘোষিত ৩৫০ কোটি ডলারের একটি প্যাকেজও রয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে ব্র্যাডলি ইনফ্যানট্রি ফাইটিং ভেহিকেল, স্বচালিত হাওইটজার, সাঁজোয়া যান, ভূমি থেকে আকাশে নিক্ষেপযোগ্য ক্ষেপণাস্ত্র ও গোলাবারুদ।
পরিচয় গোপন রাখার শর্তে যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা বলেছেন যে ধারণা করা হচ্ছে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রশাসন ইউক্রেনের জন্য এর পর স্ট্রাইকার সাঁজোয়া যান অনুমোদন করবে।
২০২২ সালের দ্বিতীয়ার্ধে ইউক্রেনের পূর্ব ও দক্ষিণাঞ্চলে দেশটি উল্লেখযোগ্য ভূখণ্ড রুশদের থেকে ছিনিয়ে নেওয়ার পর থেকে ফ্রন্টলাইনগুলো থমকে রয়েছে। কাল বর্বর, প্রথম বিশ্বযুদ্ধের মত লড়াইয়ের কথা বর্ণনা করেন, যেখানে অগ্রগতি শহরের ব্লক দিয়ে হিসাব করা হচ্ছে।
কাল বলেন, “আমরা আসলেই যেটাতে মনোযোগ দিচ্ছি তা হল, সংঘাতের পরবর্তী পর্বের জন্য ইউক্রেনের সেসব সক্ষমতা বৃদ্ধি করা, যাতে করে আসলেই যুদ্ধের হিসাব-নিকাশ বদলানো যায় এবং গ্রীষ্ণের শেষে ও শরতের শুরুতে ইউক্রেনের যে গতিবেগ ছিল তা অব্যাহত রাখা যায়।” ব্রিটেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জেমস ক্লেভারলি-ও মঙ্গলবার ওয়াশিংটনে একই ধরণের মন্তব্য করেছিলেন।