অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

নেপালে ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনায় অন্তত ৬৮ জন নিহত


সামাজিক মাধ্যম থেকে প্রাপ্ত এই ছবিতে পোখারার বিমান দুর্ঘটনার পর সেখানে জড়ো হওয়া মানুষজন দেখা যাচ্ছে, ১৫ জানুয়ারি ২০২৩। (নারেশ গিরি/রয়টার্সের মাধ্যমে প্রাপ্ত)
সামাজিক মাধ্যম থেকে প্রাপ্ত এই ছবিতে পোখারার বিমান দুর্ঘটনার পর সেখানে জড়ো হওয়া মানুষজন দেখা যাচ্ছে, ১৫ জানুয়ারি ২০২৩। (নারেশ গিরি/রয়টার্সের মাধ্যমে প্রাপ্ত)

নেপালের পোখারায় রবিবার একটি অভ্যন্তরীণ ফ্লাইট দুর্ঘটনায় পতিত হলে অন্তত ৬৮ জন নিহত হয়েছেন বলে, বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে। এটি হিমালয়ে অবস্থিত ছোট এই দেশটিতে তিন দশকের মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনা।

ইয়েতি এয়ারলাইনস এর ফ্লাইটটি যেই পাহাড়ের পাশে আছড়ে পড়ে, সেখানে শত শত উদ্ধারকর্মী তল্লাশী চালাচ্ছেন। ফ্লাইটটি কাঠমান্ডু থেকে ৭২ জন আরোহী নিয়ে উড্ডয়ন করেছিল।

স্থানীয় টিভিতে দেখা যায় যে, উদ্ধারকর্মীরা বিমানটির ভাঙা অংশগুলোর আশপাশে ছুটোছুটি করছেন। দুর্ঘটনার স্থানের আশপাশের কিছু এলাকা আগুনে পুড়ে গিয়েছে এবং সেখানে ছোট ছোট আগুন জ্বলতে দেখা যায়।

১৯৯২ সালের পর থেকে এটিই নেপালের সবচেয়ে ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনা বলে এভিয়েশন সেইফটি নেটওয়ার্কের ডেটাবেইজ থেকে দেখা যায়। ঐ বছর পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইনস এর একটি এয়ারবাস এ-৩০০ বিমান কাঠমান্ডু-তে অভিগমনের সময়ে একটি পাহাড়ের ধারে আছড়ে পড়ে। ঐ ঘটনায় বিমানের ১৬৭ আরোহীর সবার মৃত্যু হয়েছিল।

বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ এক বিবৃতিতে জানায় যে, বিমানটি ‘সেটি’ গিরিখাত থেকে সকাল ১০:৫০ মিনিটে (০৫০৫ জিএমটি) বিমানবন্দরের সাথে যোগাযোগ করে। “তারপর সেটি দুর্ঘটনায় পতিত হয়।”

পুলিশ কর্মকর্তা অজয় কে.সি. জানান যে, পর্যটন শহরটির কাছের ঐ দুই পাহাড়ের মধ্যকার গিরিখাতের দুর্ঘটনাস্থলটিতে পৌঁছতে উদ্ধারকর্মীদের বেগ পেতে হচ্ছে।

অরুণ তামু নামের এক স্থানীয় বাসিন্দা বলেন, “বিমানটির অর্ধেক অংশ এখনও পাহাড়ের পাশে রয়েছে। বাকি অর্ধেক অংশ ‘সেটি’ নদীর গিরিখাতে পড়ে গিয়েছে।” রয়টার্সকে তিনি বলেন যে, বিমানটি ভূপাতিত হওয়ার কয়েক মিনিটের মধ্যেই তিনি ঘটনাস্থলে পৌঁছান।

অর্থমন্ত্রী বিষ্ণু পৌডেল সংবাদদাতাদের বলেন যে, দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধানে সরকার একটি প্যানেল গঠন করেছে এবং আশা করা হচ্ছে তারা ৪৫ দিনের মধ্যেই তাদের প্রতিবেদন জমা দিবে।

XS
SM
MD
LG