পেরুর প্রেসিডেন্ট ডিনা বোলুয়ার্তের বিরুদ্ধে বিক্ষোভের কারণে দেশটির সরকার শনিবার দিনের শেষদিকে রাজধানী লিমা ও অপর আরও তিনটি অঞ্চলে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছে। বিক্ষোভে সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে অন্তত ৪২ জনের প্রাণহানি ঘটেছে।
৩০ দিনের জন্য কার্যকর জরুরি অবস্থাটি শৃঙ্খলা বজায় রাখতে দেশটির সেনাবাহিনীকে হস্তক্ষেপ করার অনুমতি দেয়। এছাড়াও সেটি চলাচল ও সমাবেশের স্বাধীনতার মত বেশ কিছু সাংবিধানিক অধিকারও স্থগিত করেছে। সরকারি গেজেট-এ প্রকাশিত এক আদেশে বিষয়গুলো জানানো হয়।
দক্ষিণ আমেরিকা মহাদেশের এই দেশটির ক্ষমতাচ্যুত প্রেসিডেন্ট পেডরো ক্যাসটিলোর সমর্থকরা ডিসেম্বর থেকে দেশ জুড়ে সড়ক অবরোধ করে আসছেন। তারা নতুন নির্বাচন ও বোলুয়ার্তের অপসারণ দাবি করছেন।
শুক্রবার রাতে বোলুয়ার্তে পদত্যাগের দাবি প্রত্যাখ্যান করে টেলিভিশনে দেওয়া এক বক্তব্যে বলেন: “আমার অঙ্গীকার পেরুর প্রতি।”
জরুরি অবস্থাটি রাজধানী লিমা, কাসকো ও পুনো অঞ্চল দুইটি, এবং রাজধানীর পার্শ্ববর্তী ক্যালাও বন্দরে জারি করা হয়েছে।
সরকারবিরোধী গণবিক্ষোভগুলো ডিসেম্বরের শুরুর দিকে প্রথম আরম্ভ হয়। তার আগে ক্যাসটিলো তার বিরুদ্ধে একটি অভিশংসন ভোট এড়ানোর চেষ্টায়, কংগ্রেস ভেঙে দিয়ে আদেশ জারির মাধ্যমে শাসনের চেষ্টা চালালে তাকে ক্ষমতাচ্যুত করা হয়।
পেরু সাম্প্রতিক বছরগুলোতে রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতার সম্মুখীন হয়েছে। বিগত পাঁচ বছরের মধ্যে ৬০ বছর বয়সী বোলুয়ার্তে দেশটির ষষ্ঠ প্রেসিডেন্ট।
ক্যাসটিলোর মেয়াদকালীন সময়ে বেশ কিছু জালিয়াতির মামলায় তার বিরুদ্ধে তদন্ত চালানো হচ্ছিল। তাকে ১৮ মাসের জন্য নিরাপত্তা হেফাজতে রাখা হবে। তার বিরুদ্ধে বিদ্রোহের অভিযোগ আনা হয়েছে।