যুক্তরাষ্ট্রের একজন জ্যেষ্ঠ রাষ্ট্রদূত বৃহস্পতিবার রাশিয়ার বেসরকারি সামরিক ঠিকাদার ওয়েগনার গ্রুপের কার্যকলাপ নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তিনি, সার্বিয়া ও বিশ্বের অন্যান্য স্থান থেকে সৈন্য নিয়োগের কথিত প্রচেষ্টার অভিযোগ সম্পর্কেও গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেন।
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রকের কাউন্সেলর ডেরেক শোলে বলেন, তিনি বেলগ্রেডে সার্বিয়ার প্রেসিডেন্ট আলেকসান্দার ভুসিকের সাথে আলোচনার সময় এই উদ্বেগের কথা তুলে ধরেছেন।
রাশিয়ার অলিগার্ক (ক্ষমতা চক্রের অংশ) ইয়েভগেনি প্রিগোজিনের মালিকানাধীন ওয়েগনার গ্রুপ ডজনখানের দেশে সক্রিয়।এগুলোর বেশিরভাগই আফ্রিকার দেশ। তারা, রুশপন্থী প্রচার এবং অন্যান্য সামরিক ও রাজনৈতিক প্রকল্পে দেশগুলোর সরকারের সঙ্গে কাজ করছে।
এই সামরিক ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানটি, সার্বিয়ায় তাদের উপস্থিতি নিয়ে দম্ভ প্রকাশ করে। সার্বিয়া হলো, বেলারুশ বাদে একমাত্র ইউরোপীয় রাষ্ট্র, যারা ইউক্রেনের বিরুদ্ধে যুদ্ধের কারণে রাশিয়ার ওপর আরোপিত আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞায় যোগ দেয়নি। গোষ্ঠীটি বেলগ্রেডে তাদের কার্যালয় খোলার ঘোষণা দিয়েছিল বলে বলা হয়, তবে পরে তা অস্বীকার করা হয়।
মস্কোর প্রোপাগান্ডা পোর্টাল আরটি সম্প্রতি সার্বিয়ান ভাষায় অনলাইন নিউজ সাইট শুরু করেছে। আরটির ঐ সাইটে ইউক্রেন লড়াইয়ের জন্য যোদ্ধা খুঁজতে, ওয়েগনারের নিয়োগের বিজ্ঞাপন প্রকাশ করা হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, গ্রুপটি “ আকর্ষনীয় প্রণোদনার চেয়েও বেশি” প্রণোদনা দেয়।
মধ্য আফ্রিকা প্রজাতন্ত্র, লিবিয়া এবং মালিসহ আফ্রিকাজুড়ে অসংখ্য মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনার জন্য পশ্চিমা দেশগুলো এবং জাতিসংঘের বিশেষজ্ঞরা ওয়েগনার গ্রুপের ভাড়াটে সৈন্যদেরকে অভিযুক্ত করেছেন।
শোলে, সার্বিয়াকে তাদের ঐতিহ্যগত স্লাভিক মিত্র রাশিয়ার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপের আহ্বান জানান।
যুক্তরাষ্ট্রের দূত এই সপ্তাহে বেশ কয়েকটি বলকান দেশ সফর করা শুরু করেছেন। তার সফরের উদ্দেশ্যের কেন্দ্রে রয়েছে কসোভো এবং সার্বিয়ার মধ্যকার কয়েক সপ্তাহ ধরে বিরাজমান উত্তেজনাকর সম্পর্ক স্বাভাবিক করতে, সহায়তার জন্য আন্তর্জাতিক প্রচেষ্টা জোরদার করা। সার্বিয়ার প্রাক্তন এই প্রদেশটি ২০০৮ সালে স্বাধীনতা ঘোষণা করে। তবে, রাশিয়া এবং সার্বিয়া এটা স্বীকার করে না।