অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

ব্রিটেনের হয়ে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে সাবেক কর্মকর্তাকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে ইরান


২২ বছর বয়সী কুর্দি তরুণী মাহসা আমিনির মৃত্যুর পর দেশব্যাপী বিক্ষোভ চলাকালীন নিরাপত্তা বাহিনীর একজন সদস্যকে হত্যার অভিযোগে সৈয়দ মোহাম্মদ হোসেইনির সামনে একটি আদালতের কক্ষে কথা বলছেন একজন বিচারক, হোসেইনিকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হবে। ৭ জানুয়ারী, ২০২৩।
২২ বছর বয়সী কুর্দি তরুণী মাহসা আমিনির মৃত্যুর পর দেশব্যাপী বিক্ষোভ চলাকালীন নিরাপত্তা বাহিনীর একজন সদস্যকে হত্যার অভিযোগে সৈয়দ মোহাম্মদ হোসেইনির সামনে একটি আদালতের কক্ষে কথা বলছেন একজন বিচারক, হোসেইনিকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হবে। ৭ জানুয়ারী, ২০২৩।

ব্রিটেনের জন্য গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত করার পর, সাবেক এক ঊর্ধ্বতন প্রতিরক্ষা কর্মকর্তাকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে ইরান। বুধবার দেশটির রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম একথা জানিয়েছে।

আধা-সরকারি তাসনিম বার্তা সংস্থার বরাত দিয়ে ইরানের বিচার বিভাগ বলেছে, ২০০১ সাল পর্যন্ত উপ-প্রতিরক্ষা মন্ত্রী হিসেবে নিযুক্ত ছিলেন অভিযুক্ত আলী রেজা আকবরী। তবে মূলত তিনি ছিলেন ব্রিটিশ গোয়েন্দাদের "মূল গুপ্তচর", ইরানি গোয়েন্দারা তাকে মিথ্যা তথ্য দিয়ে তার গুপ্তচরবৃত্তির মুখোশ খুলে দিয়েছে।

তাসনিম আরও জানিয়েছে, তিনি ইরান ও পশ্চিমা শক্তির মধ্যে অতীতের পরমাণু আলোচনার বিষয়ে গোয়েন্দাগিরি করেছিলেন। আকবরী প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ খাতামির অধীনে উপ-প্রতিরক্ষা মন্ত্রী হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন। একজন সংস্কারপন্থী হিসেবে পরিচিত আকবরী, পশ্চিমের সাথে সম্পর্ক উন্নত করার জন্য ইরান সরকারকে চাপ দিয়েছিলেন।

অন্যদিকে, আকবরীর মৃত্যুদণ্ড কার্যকর না করার এবং অবিলম্বে তার মুক্তির আহ্বান জানিয়েছে, ব্রিটেন।

ব্রিটেনের পররাষ্ট্র মন্ত্রী জেমস ক্লিভারলি এক বিবৃতিতে বলেছেন, "এটি একটি বর্বর শাসনের দ্বারা রাজনৈতিকভাবে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত কাজ, যা মানব জীবনের প্রতি সম্পূর্ণ অবজ্ঞা প্রদর্শন।"

আকবরী একটি ব্যক্তিগত চিন্তকগোষ্ঠী পরিচালনা করতেন। ২০১৯ সালে গ্রেফতার হবার পর, তাকে আর প্রকাশ্যে কোথাও দেখা যায়নি।

কর্তৃপক্ষ তার বিচারের বিষয়ে বিস্তারিত কিছুই প্রকাশ করেনি। গুপ্তচরবৃত্তি এবং জাতীয় নিরাপত্তা সম্পর্কিত অন্যান্য অপরাধের দায়ে অভিযুক্ত ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে সাধারণত গোপন আদালতে বিচার কাজ সম্পন্ন হয়। অধিকার গোষ্ঠীগুলি বলছে, তারা তাদের নিজস্ব আইনজীবী বেছে নিতে পারেনা এবং তাদের বিরুদ্ধে আনিত প্রমাণাদীও দেখতে দেওয়া হয় না।

তাসনিম আরও জানিয়েছে, সুপ্রিম কোর্ট তার সাজা বহাল রেখেছে এবং কেবলমাত্র তার একজন আইনজীবীর প্রবেশাধিকার রয়েছে। তবে ঠিক কবে নাগাদ তার ফাঁসি কার্যকর হবে, সে বিষয়ে কোনো কথা বলা হয়নি।

এর আগে, ইরান এবং ইরাকের বিধ্বংসী আট বছরের যুদ্ধের পর, ১৯৮৮ সালের যুদ্ধবিরতি বাস্তবায়নে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন আকবরী। এছাড়া তিনি জাতিসংঘের পর্যবেক্ষকদের সাথেও ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করেছেন।

XS
SM
MD
LG