পুলিশি হেফাজতে এক যুবতীর মৃত্যুর প্রতিবাদে বিক্ষোভ চলাকালীন আধাসামরিক বাহিনীর সদস্যকে হত্যার অভিযোগে শনিবার ইরান দু'জনকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়ার পরে ইউরোপীয় ইউনিয়ন বলেছে যে এই কর্মকাণ্ড আশঙ্কাজনক।
ইইউ পররাষ্ট্র বিষয়ক প্রধান জোসেপ বোরেল এক বিবৃতিতে বলেছেন, "ইরানে চলমান বিক্ষোভের জন্য মোহাম্মদ মেহেদি কারামি এবং সাইয়েদ মোহাম্মদ হোসেইনির মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করায় ইইউ আতঙ্কিত।"
তিনি বলেন, "এটি বেসামরিক বিক্ষোভে ইরানি কর্তৃপক্ষের সহিংস দমনের আরেকটি লক্ষণ।”
"ইউরোপীয় ইউনিয়ন আবারো ইরানি কর্তৃপক্ষকে অবিলম্বে বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে মৃত্যুদণ্ড আরোপ ও কার্যকর করার কঠোর নিন্দনীয় অনুশীলন বন্ধ করার আহ্বান জানিয়েছে।"
দেশব্যাপী বিক্ষোভের জন্য ইরান আরও দু'জনের মৃত্যুদন্ড কার্যকর করার পর এই বিবৃতিটি এসেছে। দেশব্যাপী বিক্ষোভের জন্য মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের সংখ্যা দ্বিগুণ করে চারটিতে পৌঁছেছে। সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝি থেকে ক্রমবর্ধমান ঐ বিক্ষোভে ইরানের ধর্মভিত্তিক শাসনের অবসানের আহ্বান জানানো হচ্ছে।
ডিসেম্বরে দুজনকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়ার ফলে ইরানের বিরুদ্ধে বিশ্বব্যাপী ক্ষোভ এবং নতুন পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞার আরোপ করা হয়।
সেপ্টেম্বরে পুলিশি হেফাজতে ২২ বছর বয়সী মাহসা আমিনির মৃত্যুর সাথে সাথে শুরু হওয়া একের পর এক বিক্ষোভে কর্তৃপক্ষ হাজার হাজার লোককে গ্রেপ্তার করেছে।
ঐ ইরানি কুর্দি নারীকে নারীদের জন্য শাসন ব্যবস্থার কঠোর পোষাক কোড লঙ্ঘনের অভিযোগে নৈতিকতা পুলিশ গ্রেপ্তার করেছিল।