সেমিরম শহরে বিক্ষোভ চলাকালীন ইরানের নিরাপত্তা বাহিনীর একজন সদস্যকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। রবিবার রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম এ সংবাদ জানিয়েছে।
মাহসা আমিনির মৃত্যুর ১০০ দিনের বেশি পার হয়েছে। ২২ বছর বয়সী আমিনি নারীদের জন্য দেশটির কঠোর পোশাকবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে গ্রেপ্তার হওয়ার পর ১৬ সেপ্টেম্বর পুলিশের হেফাজতে মারা যাওয়ার পরে থেকে ইরান বিক্ষোভে কেঁপে উঠেছে- কর্তৃপক্ষ একে ‘দাঙ্গা’ বলে অভিহিত করছে।
শক্তিশালী ইসলামিক বিপ্লবী গার্ড কোরের সাথে যুক্ত আধাসামরিক বাহিনীকে উল্লেখ করে সরকারি বার্তা সংস্থা আইআরএনএ বলেছে, “সেমিরম শহরে একজন বাসিজ সদস্যকে সশস্ত্র অপরাধীরা হত্যা করেছে।”
আইআরএনএ বলেছে, বিক্ষোভকারীরা শনিবার গভীর রাতে মধ্য ইসফাহান প্রদেশে, রাজধানী তেহরানের প্রায় ৪৭০ কিলোমিটার (২৯০ মাইল) দক্ষিণে সেমিরম শহরে জড়ো হয়েছিল।
এতে আরও বলা হয়, তারা সেমিরমের আঞ্চলিক প্রশাসন ভবন এবং অন্যান্য স্থাপনার সামনে সমাবেশ করেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, “শহরে শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠা করার জন্য নিরাপত্তা বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছিল এবং কিছু ক্ষেত্রে বেশ কয়েকজন দাঙ্গাকারীর সাথে সংঘর্ষ হয়েছে।”
ইরানের কর্মকর্তারা বলেছেন, দেশব্যাপী অস্থিরতায় নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যসহ শত শত মানুষ নিহত হয়েছে এবং হাজার হাজার মানুষকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
তেহরান বৈরি বিদেশি শক্তি এবং বিরোধী দলগুলোর বিরুদ্ধে অস্থিরতা ছড়ানোর অভিযোগ করেছে।
ইরান গত মাসে বিক্ষোভে নিরাপত্তা বাহিনীর ওপর হামলার দায়ে দোষী সাব্যস্ত হওয়া ২৩ বছর বয়সী দুজনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করেছে।
বিচার বিভাগ বলেছে, আরও ৯ জনকে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়েছে। প্রচারণাকারীরা বলেছেন, এই সপ্তাহে কয়েক ডজন বিক্ষোভকারীকেও এমন অভিযোগের মুখোমুখি হতে হয়েছে যার সম্ভাব্য শাস্তি মৃত্যুদণ্ড।