ক্রোয়েশিয়া রবিবার তাদের দেশের মুদ্রা হিসেবে ইউরো চালু করেছে এবং ইউরোপের পাসপোর্ট মুক্ত অঞ্চলে প্রবেশ করেছে। প্রায় এক দশক আগে ইউরোপীয় ইউনিয়নে (ইইউ) যোগ দেওয়ার পর এই দুইটি পদক্ষেপ দেশটির জন্য দুইটি বড় মাইলফলক।
স্থানীয় সময় মধ্যরাতে (২৩০০ জিএমটি) বলকান এই দেশটি তাদের নিজস্ব মুদ্রা ‘কুনা’-কে বিদায় জানিয়েছে এবং ইউরোজোন এর ২০তম সদস্য দেশ হয়ে উঠেছে।
একইসাথে ক্রোয়েশিয়া পাসপোর্ট মুক্ত শেনগেন অঞ্চলের ২৭তম সদস্য দেশ। শেনগেন বিশ্বের বৃহত্তম পাসপোর্ট মুক্ত অঞ্চল, যা কিনা ৪০ কোটিরও বেশি মানুষকে সদস্য দেশগুলোর মধ্যে স্বাধীনভাবে চলাচল করার সুযোগ করে দেয়।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন যে, ইউরো চালু করা ক্রোয়েশিয়ার অর্থনীতিকে এমন এক সময়ে সুরক্ষা দিতে সহায়তা করবে যখন কিনা ইউক্রেনে রাশিয়ার আক্রমণের কারণে খাদ্য ও জ্বালানী মূল্য আকাশচুম্বী হয়ে ওঠায় বিশ্বজুড়ে মূল্যস্ফীতি বেড়েই চলেছে।
তবে ক্রোয়েশিয়ার মানুষের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গিয়েছে। তারা যদিও সীমান্ত নিয়ন্ত্রণের অবসানকে স্বাগত জানিয়েছেন, তবু কেউ কেউ ইউরো চালু করার বিষয়ে চিন্তিত রয়েছেন। চরম ডানপন্থী বিরোধী গোষ্ঠীগুলো বলছে যে, এমন পদক্ষেপ শুধুমাত্র জার্মানী ও ফ্রান্সের মত বড় দেশগুলোকেই লাভবান করবে।
ক্রোয়েশিয়ার অনেকেই শঙ্কিত যে, ইউরো চালু করা মূল্যবৃদ্ধি ঘটাবে, বিশেষত এই কারণে যে, বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানগুলো মুদ্রামান রূপান্তর করার সময়ে মূল্যগুলোকে বৃদ্ধি করে গোটা সংখ্যায় পরিণত করবে।