শুক্রবার প্রেসিডেন্ট জেইর বলসোনারো তার প্রতিদ্বন্দ্বী নির্বাচিত বামপন্থী প্রেসিডেন্ট লুইজ ইনাসিও লুলা ডা সিল্ভা দায়িত্ব নেয়ার ৪৮ ঘণ্টা আগে যুক্তরাষ্ট্রের উদ্দেশে ব্রাজিল ত্যাগ করেছেন। তিনি বলেছেন, তিনি “লড়াইয়ে হেরেছেন কিন্তু যুদ্ধে নয়।”
নির্বাচনে হারার পরে বলসেনারো এই প্রথম কথা বলেছেন। তিনি কোথায় যাচ্ছেন তা নিশ্চিত করনেনি তবে তাঁর উড়োজাহাজটির ট্র্যাকিং উপাত্ত থেকে জানা যায়, তিনি ফ্লোরিডা যাচ্ছেন। সেখানে তার নিরাপত্তা কর্মীরা ইতোমধ্যেই অবস্থান করছে। তিনি বারবার বলেছেন, তিনি রবিবারের শপথ অনুষ্ঠানে লুলার কাছে প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব হস্তান্তর করতে চান না।
ভাইস প্রেসিডেন্ট হ্যামিল্টন মুরাও এখন ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট।তার প্রেস অফিসার রয়টার্সকে বলসোনারো দেশ ছেড়েছেন বলে নিশ্চিত করেছেন।
বিমান যাত্রার আগে বলসোনারো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অশ্রুসজল চোখে একটি চূড়ান্ত ভাষণ দেন। সেখানে তিনি দায়িত্বে থাকার সময় কী কী করেছেন তা বর্ণনা করেছেন, তার উত্তরাধিকার রক্ষার চেষ্টা করেছিলেন এবং লুলার বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যেতে তার অনুসারীদেরকে অনুপ্রাণিত করার চেষ্টা করেছেন।
তার কিছু সমর্থক লুলার বিজয়কে মেনে নিতে অস্বীকার করেছে। অক্টোবরের নির্বাচনে কারচুপি হয়েছে- বলসোনারোর ভিত্তিহীন এই দাবিকে তারা বিশ্বাস করে।এর ফলে রাজধানী ব্রাজিলিয়ায় গত সপ্তাহে দাঙ্গা হয় এবং বোমা হামলার ব্যর্থ প্রচেষ্টা চালানো হয়।
বলসোনারোর দ্রুত প্রস্থান ডানপন্থী অনেকের জন্য হতাশাজনক।তাদের কাছে বলসোনারোর খ্যাতি তার নির্বাচন পরবর্তী নীরবতার জন্য মার খেয়েছে। তার রাজনৈতিক সহযোগীরা চান তিনি যেন ২০২৬ সালের পরবর্তী নির্বাচনে লুলাকে ক্ষমতাচ্যুত করার উদ্দেশ্যে রক্ষণশীল বিরোধীদের নেতৃত্ব দেন।