অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

সার্বিয়া-কসোভো সীমান্ত পারাপার বন্ধ: সংযমের আহ্বান যুক্তরাষ্ট্র, ইইউ, নেটোর


জাতিগতভাবে বিভক্ত কসোভোর শহর মিত্রোভিকার উত্তর অংশে টহল দিচ্ছে কসোভো পুলিশ অফিসাররা। ২৮ ডিসেম্বর, ২০২২।
জাতিগতভাবে বিভক্ত কসোভোর শহর মিত্রোভিকার উত্তর অংশে টহল দিচ্ছে কসোভো পুলিশ অফিসাররা। ২৮ ডিসেম্বর, ২০২২।

কসোভোর উত্তরে স্থানীয় সার্বদের সাথে ২০০৮ সালের স্বাধীনতা নিয়ে উত্তেজনা বৃদ্ধি পাওয়ায় বুধবার তৃতীয় সীমান্ত চৌকিটি বন্ধ করে দিয়েছে কসোভো কর্তৃপক্ষ। দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা প্রশমনে সর্বাধিক সংযমের আহ্বান জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, নেটো এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন।

২০ বছরেরও বেশি সময় ধরে, কসোভো পশ্চিমাদের মধ্যে উত্তেজনার উত্স হয়ে রয়েছে। পশ্চিমারা কসোভোর স্বাধীনতাকে সমর্থন করেছিল। অন্যদিকে, রাশিয়া, জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলিতে কসোভোর সদস্যপদ অবরুদ্ধ করার প্রচেষ্টায় সার্বিয়াকে সমর্থন করে আসছে।

ইইউ এবং যুক্তরাষ্ট্র এক যৌথ বিবৃতিতে বলেছে, "আমরা সবাইকে সর্বোচ্চ সংযম প্রদর্শন করার জন্য, এবং শর্তহীনভাবে পরিস্থিতি শান্ত করার জন্য অবিলম্বে পদক্ষেপ নিতে, সেই সাথে উস্কানি, হুমকি বা ভয় দেখানো থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানাচ্ছি।"

সার্বিয়া সোমবার তাদের সেনাবাহিনীকে সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থায় রেখেছে।

কসোভো ২০০৮ সালে সার্বিয়া থেকে স্বাধীনতা ঘোষণা করেছিল, কিন্তু সার্বিয়া এবং উত্তর কসোভোর সার্বরা তাদের স্বাধীন দেশ হিসেবে স্বীকৃতি দিতে অস্বীকার করে আসছে এবং তাদের গাড়ীর লাইসেন্স প্লেট এখনও সার্বিয়া থেকে জারি করা হচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন বিদ্যমান দ্বিপাক্ষিক সমস্যা সমাধানের জন্য আলোচনায় মধ্যস্থতা করছে।

অন্যদিকে, ক্রেমলিন, তার অংশের জন্য, কসোভোর দাবি অস্বীকার করেছে যে, রাশিয়া কসোভোকে অস্থিতিশীল করতে সার্বিয়াকে প্রভাবিত করছে। ক্রেমলিন বলছে, সার্বিয়া জাতিগোষ্ঠীগত সার্বদের অধিকার রক্ষা করছে।

কসোভোর উত্তরাঞ্চলের সার্ব, যেটিকে তারা এখনও সার্বিয়ার অংশ বলে বিশ্বাস করে, তারা যে কোন পদক্ষেপকে সার্ব-বিরোধী বলে প্রতিহত করে।

সার্বিয়া এবং কসোভোর মধ্যে দুটি সীমান্ত পারাপার গত ১০ ডিসেম্বর বন্ধ করা হয়েছিল এবং সড়কে মাল পরিবহনের জন্য সবচেয়ে বড় মেরদার সীমান্ত, বুধবার চলাচলের জন্য জন্য বন্ধ করে দেওয়া হয়। এর ফলে ইউরোপের অন্য দেশে কাজ করা কসোভোর নাগরিকদের বড়দিনে দেশে ফিরতে বেশ বেগ পেতে হয়েছিল।

মঙ্গলবার কসোভোর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জেহেলাল সভেক্লা বলেন, সার্বিয়া কসোভোকে অস্থিতিশীল করার লক্ষ্যে রয়েছে। অন্যদিকে, সার্বিয়া বলেছে, তারা সেখানে তাদের সংখ্যালঘুদের রক্ষা করতে চায়।

উত্তর কসোভোতে বসবাসকারী প্রায় ৫০,০০০ সার্ব রাজধানী প্রিস্টিনায় সরকার কিংবা কসোভোকে একটি পৃথক দেশ হিসাবে স্বীকৃতি দিতে বরাবর অস্বীকার করে আসছে। তাদের প্রতি সার্বিয়ার বহু সার্বের এবং তাদের সরকারের সমর্থন রয়েছে।

১৯৯৮-৯৯ সালের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের পর আলবেনিয়ান-সংখ্যাগরিষ্ঠ কসোভো পশ্চিমের সমর্থনে স্বাধীনতা ঘোষণা করে। সে সময় নেটো জাতিগোষ্ঠীগত ভাবে আলবেনিয়ান নাগরিকদের সুরক্ষার জন্য দেশটিতে হস্তক্ষেপ করেছিল।

XS
SM
MD
LG