অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

আফগানিস্তানে নারীদের ওপর তালিবান নিষেধাজ্ঞার নিন্দা জানিয়েছে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ


 লন্ডনে আফগান নারীদের অধিকারের সমর্থনে একটি মিছিল এবং সমাবেশে অংশ নেয় প্রতিবাদকারীরা। ২৭ নভেম্বর, ২০২২। (ফাইল ছবি)
লন্ডনে আফগান নারীদের অধিকারের সমর্থনে একটি মিছিল এবং সমাবেশে অংশ নেয় প্রতিবাদকারীরা। ২৭ নভেম্বর, ২০২২। (ফাইল ছবি)

তালিবান-নেতৃত্বাধীন প্রশাসনের নারীদের বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়া এবং মানবিক সহায়তা গোষ্ঠীর জন্য কাজ করার নিষেধাজ্ঞার নিন্দা করে, মঙ্গলবার আফগানিস্তানে নারী ও মেয়েদের পূর্ণ, সমান এবং অর্থপূর্ণ অংশগ্রহণের আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ।

সর্ব সম্মতিক্রমে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে, ১৫-সদস্যের কাউন্সিল বলেছে, আফগানিস্তানে হাইস্কুল এবং বিশ্ববিদ্যালয়ে নারী এবং মেয়েদের পড়ার উপর নিষেধাজ্ঞা "মানবাধিকার এবং মৌলিক স্বাধীনতার সম্মানের ক্রমবর্ধমান ক্ষয়ের নিদর্শন।"

গত সপ্তাহে যখন নিউইয়র্কে নিরাপত্তা পরিষদের আফগানিস্তান নিয়ে বৈঠক চলছিল তখন নারীদের ওপর বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঠের ব্যাপারে নিষেধাজ্ঞার বিষয়টি ঘোষণা করা হয়। এছাড়া দেশটিতে গত মার্চ থেকে মেয়েদের হাই স্কুলে যাওয়া নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

শনিবার কাউন্সিল ঘোষণা করে, নারী মানবিক কর্মীদের উপর নিষেধাজ্ঞা, "দেশটিতে জাতিসংঘসহ অন্যান্য মানবিক কার্যক্রমের উপর একটি উল্লেখযোগ্য এবং তাৎক্ষণিক প্রভাব ফেলবে।"

লক্ষ লক্ষ আফগানের কাছে মানবিক ত্রাণ সামগ্রী সরবরাহ করে, এমন চারটি বড় বৈশ্বিক সাহায্য সংস্থা রবিবার বলেছে, তারা আফগানিস্তানে তাদের কর্ম তত্পরতা স্থগিত করতে বাধ্য হয়েছে। কারণ নারী কর্মীদের ছাড়া তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করা কিছুতেই সম্ভব নয়।

জাতিসংঘের সাহায্য প্রধান মার্টিন গ্রিফিথস গত সপ্তাহে নিরাপত্তা পরিষদকে বলেন, আফগান জনগোষ্ঠীর ৯৭% দারিদ্র্যের মধ্যে বাস করে। এছাড়া দেশটির মোট জনসংখ্যার দুই-তৃতীয়াংশের বেঁচে থাকার জন্য সহায়তা প্রয়োজন, ২ কোটি মানুষ তীব্র ক্ষুধার সম্মুখীন এবং ১১ লাখ কিশোরীকে স্কুল থেকে নিষিদ্ধ করা হয়।

২০২১ সালের আগস্টে ইসলামপন্থী তালিবান ক্ষমতা দখল করে। তারা গত দুই দশক আগে ক্ষমতায় থাকার সময় মেয়েদের শিক্ষার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল, কিন্তু বর্তমান ক্ষমতাসীন তালিবান বলেছিল, তাদের সেই নীতি পরিবর্তন হয়েছে। তা না হওয়ায়, তালিবান নেতৃত্বাধীন প্রশাসন এখনো আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত হয়নি।

XS
SM
MD
LG