অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

তাইওয়ানের বিমান প্রতিরক্ষা এলাকায় চীনের এ যাবত সর্ববৃহৎ অনুপ্রবেশ


তাইওয়ানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের প্রকাশিত এই ফাইল ফটোতে একটি চীনা পিএলএ জে-১৬ যুদ্ধবিমান অজ্ঞাত স্থানে উড়ছে। ফাইল ছবি।
তাইওয়ানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের প্রকাশিত এই ফাইল ফটোতে একটি চীনা পিএলএ জে-১৬ যুদ্ধবিমান অজ্ঞাত স্থানে উড়ছে। ফাইল ছবি।

ফাইটার জেট এবং ড্রোনসহ চীনা বিমানবাহিনীর ৭১টি বিমান তাইওয়ানের আকাশ প্রতিরক্ষা অঞ্চলে অনুপ্রবেশ করে। সোমবার তাইওয়ানের সরকার এ সংবাদ জানায়। তাইওয়ানে এখন পর্যন্ত এটি সর্ববৃহৎ অনুপ্রবেশের ঘটনা।

তাইওয়ানের আনুষ্ঠানিক সেন্ট্রাল নিউজ এজেন্সি বলেছে, এটি এখন পর্যন্ত চীনা বাহিনীর সর্ববৃহৎ অনুপ্রবেশ ছিল। তবে দ্বীপে শঙ্কার কোনো অনুভূতি ছিল না। দ্বীপটিতে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে চীনের চাপ ক্রমাগতভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে।

চীন তাইওয়ানকে তার নিজস্ব অঞ্চল বলে দাবি করে। তারা বলেছে, তারা রবিবার তাইওয়ানের আশেপাশে সমুদ্র এবং আকাশসীমায় “হামলা মহড়া” পরিচালনা করেছে। চীন বলেছে গণতান্ত্রিকভাবে শাসিত দ্বীপ এবং যুক্তরাষ্ট্রের উস্কানির ফলে এই মহড়া পরিচালনা করা হয়।

তাইওয়ান চীনের সার্বভৌমত্বের দাবি দৃঢ়ভাবে প্রত্যাখ্যান করে বলেছে, মহড়ায় দেখা গেছে যে, বেইজিং আঞ্চলিক শান্তি নষ্ট করছে এবং তাইওয়ানের জনগণকে ভয় দেখানোর চেষ্টা করছে।

তাইওয়ানের কার্যালয় সাই ইং-ওয়েনের কার্যালয় বলেছে, সাই মঙ্গলবার সকালে দ্বীপের বেসামরিক প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করার বিষয়ে আলোচনার জন্য উচ্চ পর্যায়ের একটি জাতীয় নিরাপত্তা সভা আহ্বান করবে, তারপরে নতুন নাগরিক প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে একটি সংবাদ সম্মেলন হবে।

তাইপেই গত দুই বছরে চীনা বিমান বাহিনীর বারবার অভিযানের অভিযোগ করেছে; প্রায়শই তারা এডিআইজেডের দক্ষিণাঞ্চলে অভিযান চালিয়েছে।

স্বশাসিত দ্বীপটির ওপর বেইজিং-এর শাসন মেনে নেয়ার জন্য সাম্প্রতিক বছরগুলোতে চীন তার কূটনৈতিক, সামরিক এবং অর্থনৈতিক চাপ বাড়িয়েছে। তাইওয়ানের সরকার বলছে, তারা শান্তি চায় কিন্তু হামলা হলে আত্মরক্ষা করবে।

XS
SM
MD
LG