অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

ইরানের গায়ক ইয়াসিনের মৃত্যুদণ্ডের বিরুদ্ধে আপিল গ্রহণ করেছে দেশের সর্বোচ্চ আদালত


মাহসা আমিনির মৃত্যুর পর ইরানী নারীদের সমর্থনে তুরস্কে বসবাসকারী ইরানী সম্প্রদায়ের মানুষ ইস্তাম্বুলে এক প্রতিবাদে অংশগ্রহণ করছেন, ১৩ ডিসেম্বর ২০২২।
মাহসা আমিনির মৃত্যুর পর ইরানী নারীদের সমর্থনে তুরস্কে বসবাসকারী ইরানী সম্প্রদায়ের মানুষ ইস্তাম্বুলে এক প্রতিবাদে অংশগ্রহণ করছেন, ১৩ ডিসেম্বর ২০২২।

ইরানের সুপ্রিম কোর্ট গায়ক সামান সেইদি ইয়াসিন-এর মৃত্যুদণ্ডের বিরুদ্ধে করা তার আপিল গ্রহণ করেছে, যদিও আদালত অপর আরেক বিক্ষোভকারীর মৃত্যুদণ্ড বহাল রেখেছে। দেশটির বিচার বিভাগ শনিবার এমন তথ্য জানিয়েছে।

ইয়াসিন একজন কুর্দি, যিনি বৈষম্য, নিপীড়ন ও বেকারত্বের বিষয়ে র‌্যাপ গান করেন। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয় যে, সরকারবিরাধী বিক্ষোভের সময়ে তিনি একটি আবর্জনার বিন-এ আগুন ধরিয়ে দিয়ে ও আকাশে তিনবার গুলি করে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের হত্যার চেষ্টা চালিয়েছিলেন। ইয়াসিন অভিযোগগুলো প্রত্যাখ্যান করেছেন।

গত সপ্তাহে ইয়াসিনের মা এক ভিডিওতে তার ছেলেকে বাঁচানোর জন্য আবেদন করেন। সামাজিক মাধ্যমে পোস্ট করা ঐ ভিডিওতে তিনি বলেন, “পৃথিবীর কোথায় একটি আবর্জনার বিন এর জন্য আপনি আপনার প্রিয়জনের জীবন কেড়ে নিতে দেখেছেন?”

আদালত প্রাথমিকভাবে জানিয়েছিল যে, তারা ইয়াসিন ও অপর এক বিক্ষোভকারীর আবেদন মঞ্জুর করেছে, কিন্তু পরবর্তীতে দেওয়া এক বিবৃতিতে বিচার বিভাগের মিজান সংবাদ সংস্থাটি জানায় যে, শুধুমাত্র ইয়াসিনের আপিলটিই গ্রহণ করা হয়েছে।

মূল বিবৃতির সিদ্ধান্তটির ব্যাখ্যা দিয়ে তারা মামলাটির তদন্তে ত্রুটির কথা উদ্ধৃত করে এবং বলে যে সেটি পুনরায় নিরীক্ষার জন্য আবার আদালতে পাঠানো হয়েছে।

কোবাদলু’র বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে যে, বিক্ষোভের সময়ে তিনি তার গাড়ি ব্যবহার করে পুলিশের এক এজেন্টকে হত্যা করেছেন ও অপর আরও পাঁচজনকে আহত করেছেন।

বিক্ষোভের ১০০তম দিনে, শনিবার দিনের শেষদিকে সামাজিক মাধ্যমে পোস্ট করা ভিডিওগুলোতে রাতে বিক্ষোভের চিত্র দেখা যায়। সেগুলোতে বলা হয় যে, দেখতে পাওয়া বিক্ষোভগুলো রাজধানী তেহরান, উত্তর-পূর্বাঞ্চলের মাশহাদ শহর, তেহরানের পশ্চিমে অবস্থিত কারাজ, এবং উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের কুর্দিস্তান প্রদেশের কেন্দ্রীয় সানানডাজ এর চিত্র।

XS
SM
MD
LG