তাইওয়ানের জন্য সামরিক সহায়তা বৃদ্ধিকারী যুক্তরাষ্ট্রের এক নতুন প্রতিরক্ষা অনুমোদন আইনের প্রতি শনিবার ক্ষোভ প্রকাশ করেছে চীন। অপরদিকে তাইওয়ান, তাদের দ্বীপটির নিরাপত্তা জোরদার করতে সহায়তা করার জন্য সেটির প্রতি সাধুবাদ জানিয়েছে।
গণতান্ত্রিকভাবে শাসিত তাইওয়ানকে চীন নিজেদের ভূখণ্ড বলে বিবেচনা করে। যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় প্রতিরক্ষা অনুমোদন আইন এর বিষয়ে চীন “জোরালো অসন্তুষ্টি ও অটল বিরোধিতা” প্রকাশ করেছে বলে, চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রক এক বিবৃতিতে জানায়।
বিবৃতিটিতে বলা হয় যে, ৮৫,৮০০ কোটি ডলারের অনুমোদিত সামরিক ব্যয়, যার মধ্যে তাইওয়ানের জন্য নিরাপত্তা সহায়তা ও ফাস্ট-ট্র্যাকে অস্ত্র ক্রয়ের জন্য ১,০০০ কোটি ডলার পর্যন্ত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে, সেটিতে এমন বিধান রয়েছে যা “তাইওয়ান প্রণালীতে শান্তি ও স্থিতিশীলতা গুরুতরভাবে নষ্টের কারণ হতে পারে”।
তাইওয়ানকে নিজ নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসতে শক্তি প্রয়োগের বিষয়টি চীন কখনোই নাকচ করেনি। তাইওয়ান জোরালোভাবে চীনের সার্বভৌমত্বের দাবিতে আপত্তি করে এবং বলে যে, শুধুমাত্র দ্বীপটির ২ কোটি ৩০ লক্ষ মানুষই নিজেদের ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করবে।
তাইওয়ানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রক যুক্তরাষ্ট্রের আইনটির প্রতি ধন্যবাদ জ্ঞাপন করে বলেছে যে, সেটি তাইওয়ান-যুক্তরাষ্ট্র বন্ধন ও দ্বীপটির নিরাপত্তা জোরদারের উপর ওয়াশিংটন যে গুরুত্বারোপ করে সেটিরই নিদর্শন।
আর বিস্তারিত না জানিয়ে মন্ত্রকটি বলে যে, আইনটির বিস্তারিত বিষয়গুলো নিয়ে তাইওয়ান যুক্তরাষ্ট্রের সাথে আলোচনা করবে এবং “বাজেট তৈরি ও তাইওয়ান সহায়ক বিধানগুলোর যথাযথ বিতরণ বিষয়ে ধীরে ধীরে সামনে এগোবে”।
প্রতিবেশী বৃহৎ দেশ চীনের তুলনায় তাইওয়ানের সামরিক বাহিনী অত্যন্ত ক্ষুদ্রাকৃতির। বিশেষ করে গত তিনবছর ধরে দ্বীপটির কাছে চীনের অনুপ্রবেশগুলোর কারণে তাইওয়ানের বিমানবাহিনী চাপের মধ্যে পড়েছে।