অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

শান্তি চুক্তির বাস্তবায়ন পর্যালোচনায় ইথিওপিয়ার সরকার এবং টিগ্রায়ের বিদ্রোহী কর্মকর্তারা


কেনিয়ার রাজধানী নাইরোবিতে শান্তি চুক্তির একটি অনুলিপি পড়ছেন, টিগ্রায় ফোর্সের প্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল তাদেসে ভেরেদে (বামে), এবং ইথিওপিয়ান সশস্ত্র বাহিনীর চিফ অফ স্টাফ ফিল্ড মার্শাল বিরহানু জুলা। ১২ নভেম্বর, ২০২২। (ফাইল ছবি)
কেনিয়ার রাজধানী নাইরোবিতে শান্তি চুক্তির একটি অনুলিপি পড়ছেন, টিগ্রায় ফোর্সের প্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল তাদেসে ভেরেদে (বামে), এবং ইথিওপিয়ান সশস্ত্র বাহিনীর চিফ অফ স্টাফ ফিল্ড মার্শাল বিরহানু জুলা। ১২ নভেম্বর, ২০২২। (ফাইল ছবি)

ইথিওপিয়ার কেন্দ্রীয় সরকার এবং টিগ্রায় অঞ্চলের কর্মকর্তারা কেনিয়ার রাজধানী নাইরোবিতে এক বৈঠকে মিলিত হয়েছেন। বৈঠকে প্রায় দুই বছরের যুদ্ধের অবসান ঘটাতে, শান্তি চুক্তির পরবর্তী পদক্ষেপ নিয়ে আলোচনা করবে দুই পক্ষ।

নভেম্বরে দক্ষিণ আফ্রিকায় স্বাক্ষরিত শান্তি চুক্তির বাস্তবায়ন নিয়ে আলোচনা করতেই ইথিওপিয়ার ঊর্ধ্বতন সরকারি কর্মকর্তারা এবং টিগ্রায় পিপলস লিবারেশন ফ্রন্ট (টিপিএলএফ) প্রতিনিধিরা কেনিয়ায় ওই বৈঠক করছেন৷

তবে, বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন, কথিত অব্যাহত সংঘর্ষ এবং মানবিক সরবরাহে বাধা শান্তি চুক্তিকে আরও জটিল করে তুলতে পারে।

এই মাসের শুরুর দিকে, টিগ্রায় বিদ্রোহী গ্রুপের কমান্ডার তাদেসে ওয়ারেডে বলেছেন, চুক্তির অংশ হিসাবে তাদের দুই-তৃতীয়াংশ যোদ্ধা যুদ্ধক্ষেত্র ছেড়েছে।

শান্তি চুক্তির ফলে প্রায় দেড় বছরেরও বেশি সময় পর টিগ্রায়ে মানবিক সহায়তা প্রদান এবং টেলিযোগাযোগ ও ব্যাঙ্কিং ব্যবস্থা পুনরুদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে।

ইথিওপিয়ার সরকার বলছে, শান্তি চুক্তি স্বাক্ষরের পর থেকে আফার, আমহারা এবং টিগ্রায় অঞ্চলে ৮০ লাখেরও বেশি মানুষ মানবিক সাহায্য সরবরাহ পেয়েছে।

২০২০ সালের নভেম্বরে ইথিওপিয়ার সরকারী বাহিনী এবং বিদ্রোহী গোষ্ঠীর মধ্যে টিগ্রায়ে যুদ্ধ শুরু হয়। যুদ্ধে লক্ষ লক্ষ লোক বাস্তুচ্যুত হয় এবং মারা যায় আরও কয়েক লক্ষ মানুষ।

গত মাসে স্বাক্ষরিত শান্তি চুক্তি বাস্তবায়নে জোর দিতে যুদ্ধরত দলগুলোর নেতারা নিয়মিত বৈঠক করছেন।

এই সপ্তাহের শেষের দিকে নাইরোবি বৈঠক সমাপ্ত হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

XS
SM
MD
LG