ইকোনমিক কমিউনিটি অফ ওয়েস্ট আফ্রিকান স্টেটস (ইকোওয়াস) এই সপ্তাহে অনুষ্ঠিত শীর্ষ সম্মেলনে সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াই করতে এবং সামরিক অভ্যুত্থানের পর গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করার জন্য একটি আঞ্চলিক শান্তিরক্ষা বাহিনী প্রতিষ্ঠা করতে সম্মত হয়েছে৷
ইকোওয়াস সদস্যদের মধ্যে সন্ত্রাসবাদ এবং অভ্যুত্থানের প্রচেষ্টাকে মোকাবেলা করার লক্ষ্যে, ইকোওয়াস স্ট্যান্ডবাই ফোর্সের নেতৃত্বে থাকবেন সদস্য দেশগুলির প্রতিরক্ষা কর্মীদের প্রধান।
যেখানে ইতোমধ্যে অভ্যুত্থান সংঘটিত হয়েছে, সেখানে গণতান্ত্রিক শৃঙ্খলা পুনরুদ্ধার করতেও এই বাহিনী সাহায্য করবে।
আবুজা-ভিত্তিক রাজনৈতিক বিশ্লেষক রোটিমি ওলাওয়েল বলেছেন, শান্তিরক্ষী বাহিনী মোতায়েনের সিদ্ধান্ত, নিঃসন্দেহে একটি স্বাগত জানানোর মতো উন্নয়ন।
১৫-সদস্যের পশ্চিম আফ্রিকান ব্লকটি গত দুই বছরে অনেক অভ্যুত্থান দেখেছে, যার মধ্যে রয়েছে মালি এবং গিনির একটি এবং এই বছর বুর্কিনা ফাসোতে দুটি অভ্যুত্থান। তিনটি দেশকেই ইকোওয়াস-এর সিদ্ধান্ত গ্রহণকারী সংস্থা থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
ইকোওয়াস নেতারা বলেছেন, অভ্যুত্থানগুলি এই অঞ্চলে কয়েক দশকের গণতান্ত্রিক অর্জনকে ব্যাহত করেছে এবং একটা অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি করে রেখেছে।
ইকোওয়াস সদস্য দেশগুলিও সীমান্তের ওপারে পরিচালিত জিহাদি যোদ্ধাদের সাথে লড়াই করছে। ফলে বিভিন্ন দেশের নিরাপত্তা বাহিনীর পক্ষে মোকাবেলা করা বেশ কঠিন হয়ে পড়েছে।
নিরাপত্তা বিশ্লেষক এবং সিকিউরিটি ডাইজেস্ট সংবাদপত্রের প্রধান সম্পাদক চিদি ওমেজে বলেছেন, শান্তিরক্ষী বাহিনী মোতায়েন করলেও প্রাথমিকভাবে তাদের বেশ কিছু চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে হবে।
ওলাওয়েল একমত যে, শান্তি ও শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনা অত সহজ হবে না।
এই সপ্তাহে, পশ্চিম আফ্রিকান ব্লক মালির শাসক জান্তাকে ৪৬ জন আইভোরিয়ান সৈন্যকে মুক্তি দিতে বলেছিল। মালিতে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনের জন্য ব্যাকআপ সৈন্য হিসেবে তাদের পাঠানো হয়েছিল, কিন্তু জুলাই থেকে তারা বন্দী অবস্থায় আছে।
শান্তিরক্ষা বাহিনীর জন্য এগিয়ে যাওয়ার উপায় নিয়ে আলোচনা করতে ইকোওয়াসের সদস্য দেশগুলোর প্রতিরক্ষা প্রধানরা আগামী জানুয়ারিতে এক বৈঠকে মিলিত হবেন।