নাসার ওরিয়ন স্পেসশিপ চাঁদের কাছ দিয়ে অতিক্রম করেছে এবং সোমবার আর্টেমিস-১ মিশনের মহাকর্ষ সহায়তা ব্যবহার করে এটি পৃথিবীতে ফিরে আসার যাত্রা শুরু করেছে।
যাত্রায় নিকটতম বিন্দুতে ক্রুবিহীন ক্যাপসুলটি চাঁদের পৃষ্ঠ থেকে ১৩০ কিলোমিটারের কম দূরত্বে উড়েছিল। পরীক্ষামূলক এ কৌশলগুলো পরবর্তী আর্টেমিস মিশনের সময় ব্যবহার করা হবে।
রবিবার স্থানীয় সময় সকাল ৯টা ৪০ মিনিটে (১৭৫০ জিএমটি) সান দিয়েগোর কাছে প্রশান্ত মহাসাগরে ছিটকে পড়ার আগ পর্যন্ত ওরিয়ন এখন কেবল সামান্য দিক পরিবর্তন করবে। তারপর এটি উদ্ধার করা হবে এবং যুক্তরাষ্ট্রের একটি জাহাজে উত্তোলন করা হবে।
মিশনের আগে ওরিয়ন চাঁদের চারপাশে অনেক উচ্চতায় চাঁদ পৃথিবীর চারপাশে যে দিকে ঘুরছে তার বিপরীত দিকে ভ্রমণে প্রায় ছয় দিন কাটিয়েছে।
আর্টেমিস মিশন ম্যানেজার মাইক সারাফিন বলেছেন, পৃথিবীতে ফিরে আসার আগে ওরিয়ন ১৪ লাখ মাইলের বেশি ভ্রমণ করবে।
আর্টেমিস প্রোগ্রামের অধীনে (গ্রিক পৌরাণিক কাহিনীর অ্যাপোলোর বোনের নামে এর নামকরণ করা হয়েছে) যুক্তরাষ্ট্র মঙ্গল গ্রহে অগ্রসর যাত্রার প্রস্তুতির জন্য চাঁদে স্থায়ী একটি উপস্থিতি তৈরি করতে চাইছে।
অবতরণ ব্যাতিরেকে আর্টেমিস ২ ক্রু-সহ চাঁদে যাবে।
আর্টেমিস ৩ এ করে প্রথমে নারী এবং পরবর্তীতে পুরুষ চন্দ্রের দক্ষিণ মেরুতে অবতরণ করবে। আর্টেমিস-৩ ২০২৫ সালের আগে যাত্রা করবে না, তবে সম্ভবত পরে এই সময়সীমার আরও বিলম্ব ঘটতে পারে।