চীনের আর্থিক কেন্দ্র সাংহাইয়ের কর্তৃপক্ষ দেশব্যাপী বিক্ষোভের পর সোমবার থেকে দেশটির কঠোর শূন্য-কোভিড নীতি শিথিল করে পরীক্ষার প্রয়োজনীয়তা বাতিল করবে। গত কয়েক দশকের মধ্যে দেশটিতে এটিই সবচেয়ে বড় বিক্ষোভ ।
কঠোর এবং দীর্ঘস্থায়ী নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থায় জনসাধারণের বিরক্তি গত সপ্তাহান্তে চূড়ান্ত পর্যায়ে গিয়ে বিভিন্ন শহরে স্বতঃস্ফূর্তভাবে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়তে শুরু করে। এরপরই একাধিক শহর কিছু বিধিনিষেধ প্রত্যাহার করতে শুরু করে।
কর্তৃপক্ষ রবিবার একটি উইচ্যাট পোস্টে বলেছে, সাংহাইয়ের অধিবাসীদের পাবলিক ট্রান্সপোর্ট, পার্ক এবং পর্যটন স্থানগুলিতে প্রবেশের জন্য আর ৪৮ ঘন্টার পরীক্ষায় নেগেটিভ ফলাফলের প্রয়োজন হবে না।
২৩ মিলিয়নের বেশি জনসংখ্যার এই শহরটি এই বছরে কয়েক মাসের জন্য বন্ধ করে দেয়া হয়েছিল, যার কারণে অভ্যন্তরীণ অর্থনৈতিক কার্যক্রম ভীষণভাবে ব্যাহত হয়।
সাংহাই শনিবার বেইজিং, তিয়ানজিন, শেনঝেন এবং চেংদু সহ একাধিক শহরকে অনুসরণ করে পাবলিক ট্রান্সপোর্টের জন্য তার অধিবাসীদের পরীক্ষার প্রয়োজনীয়তা বাতিল করে।
বেইজিংয়ের স্থানীয় কর্তৃপক্ষও শনিবার সর্দি ও জ্বরের ওষুধ কেনার জন্য প্রকৃত নাম নিবন্ধনের প্রয়োজনীয়তা বাতিল করেছে।
উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় শহর জিনঝৌ বৃহস্পতিবার লকডাউন জারি করা অব্যাহত রাখবে জানিয়ে বলেছিল, "আমরা যখন সক্ষম হব তখন জিরো-কোভিড অর্জন করতে না পারাটা লজ্জাজনক হবে।" জনসাধারণের ক্ষোভের কারণে পরে তারা তা থেকে পিছিয়ে যায়।
পূর্বাঞ্চলীয় শহর জিনানের কর্মকর্তারা রবিবার বলেছেন, তার বাসিন্দাদের এখনও একটি স্বাস্থ্য কোড স্ক্যান করতে হবে এবং পাবলিক টয়লেট ব্যবহার করার জন্য সাম্প্রতিক পরীক্ষার নেগেটিভ ফলাফল থাকতে হবে।
বেইজিং, সাংহাই, উহান এবং গুয়াংজুসহ বিভিন্ন শহরের আবাসিক এলাকায় গত এক সপ্তাহ ধরে বিক্ষোভ শুরু হয়।