কোভিড-১৯ এর তীব্রতার বিষয়ে চীন সুর নরম করছে এবং করোনাভাইরাস সংক্রান্ত কিছু কিছু বিধিনিষেধ শিথিল করছে, যদিও দেশটিতে দৈনিক সংক্রমণের হার সর্বোচ্চ পর্যায়ের কাছাকাছি রয়েছে। দেশটিতে বিদ্যমান বিশ্বের কঠোরতম বিধিনিষেধগুলো নিয়ে ক্ষোভের জেরে দেশব্যাপী প্রতিবাদের পর এমন পরিবর্তন লক্ষ্য করা গিয়েছে।
বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির এই দেশটির বেশ কিছু শহরে নতুন সংক্রমণের খবর পাওয়া গেলেও, তারা নিয়মের ব্যত্যয় ঘটিয়ে ডিস্ট্রিক্টগুলো থেকে লকডাউন তুলে নিচ্ছে এবং ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো পুনরায় খোলার অনুমতি দিচ্ছে।
বিধিনিষেধ শিথিলের ঘোষণা দেওয়া স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষগুলো প্রতিবাদের বিষয়ে কিছু উল্লেখ করেনি। এমন প্রতিবাদের মধ্যে বেইজিংয়ে মোমবাতি প্রজ্জ্বলন করে প্রার্থনা করা থেকে আরম্ভ করে, মঙ্গলবার গুয়াংঝুর সড়কে ও গত সপ্তাহে ঝেংঝু-তে একটি আইফোনের কারখানায় পুলিশের সাথে সংঘর্ষ, সবই হয়েছে।
এই প্রতিবাদগুলো, প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং একদশক আগে ক্ষমতা লাভের পর থেকে, চীনের মূল ভূখণ্ডে হওয়া শান্তিপূর্ণ অনানুগত্যতার সবচেয়ে বড় প্রদর্শনী। প্রতিবাদগুলো এমন সময়ে হচ্ছে যখন কিনা, চীনের অর্থনীতি গত কয়েক দশকে দেখতে পাওয়া প্রবৃদ্ধির হারের তুলনায় অনেক কম হারে প্রবৃদ্ধির এক যুগে প্রবেশ করতে যাচ্ছে।
প্রায় রেকর্ড সংখ্যক সংক্রমণ সত্ত্বেও, রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে, উপ-প্রধানমন্ত্রী সুন চুনলান বলেছেন যে, ভাইরাসটির রোগাক্রান্ত করার সক্ষমতা দুর্বল হয়ে পড়ছে। চুনলান চীনের কোভিড নিয়ন্ত্রণের প্রচেষ্টাগুলো তত্ত্বাবধান করেন।
রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমে প্রকাশিত বক্তব্যগুলোতে চুনলান বলেন, “মহামারী প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে দেশটি এক নতুন পরিস্থিতি ও নতুন কাজের সম্মুখীন রয়েছে, যখন কিনা ওমিক্রন ভাইরাসটির রোগাক্রান্ত করার ক্ষমতা দুর্বল হয়ে পড়ছে, আরও বেশি মানুষ টিকার আওতায় আসছে এবং ভাইরাসটি ছড়ানো রোধের ক্ষেত্রে অভিজ্ঞতা সঞ্চয় হয়েছে।”
পরীক্ষা, চিকিৎসা ও কোয়ারেন্টিন নীতির ক্ষেত্রে আরও “উৎকর্ষতার” বিষয়েও অনুরোধ করেন তিনি।
তবে, রোগা্ক্রান্ত করার ক্ষমতা কমে যাওয়ার দাবিটি, ভাইরাসটির মারাত্মক প্রকৃতি সম্পর্কে দেওয়া কর্তৃপক্ষের আগের বার্তাগুলোর সাথে আলাদা।