দক্ষিণ কোরিয়ার সামরিক বাহিনী বলেছে যে বুধবার রাশিয়ার ছয়টি এবং চীনের দুটি যুদ্ধবিমান বিনা নোটিশে তাদের আকাশ প্রতিরক্ষা অঞ্চলে প্রবেশ করায় তারা ফাইটার জেট বিমান উড়িয়েছে।
জাপানের সামরিক বাহিনী বলেছে যে চীন ও রাশিয়ার যুদ্ধবিমান জাপান সাগর, যা পূর্ব সাগর নামেও পরিচিত, তার উপর দিয়ে উড়ার প্রতিক্রিয়া হিসেবে তারাও তাদের যুদ্ধবিমান উড্ডয়নের জন্য প্রস্তুত রেখেছিল।
সোওলের জয়েন্ট চিফস অফ স্টাফ (জেসিএস) জানিয়েছে যে চীনা এইচ-৬ বোমারু বিমানগুলি বুধবার ভোরে দক্ষিণ কোরিয়ার দক্ষিণ এবং উত্তর-পূর্ব উপকূলের কাছে কোরিয়া এয়ার ডিফেন্স আইডেন্টিফিকেশন জোন (কেএডিআইজে) থেকে বারবার প্রবেশ করেছে এবং প্রস্থান করেছে।
তারা আরো বলেছে, কয়েক ঘন্টা পরে তারা পূর্ব সাগর থেকে ঐ অঞ্চলে ফিরে আসে, রুশ যুদ্ধবিমান সহ দুটি এসইউ-থার্টিফাইফ যুদ্ধবিমান এবং চারটি টি ইউ-নাইন্টিফাইফ বোমারু বিমান ছিল।
সোওল জানিয়েছে, সব যুদ্ধবিমান শেষ পর্যন্ত ঐ অঞ্চল ছেড়ে গেছে এবং কেউই দক্ষিণ কোরিয়ার আকাশসীমা লঙ্ঘন করেনি।
একটি এডিআইযি হল একটি দেশের আকাশসীমার চেয়ে প্রশস্ত একটি এলাকা যেখানে এটি নিরাপত্তার কারণে বিমান নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করে, কিন্তু এই বিষয়টি কোনো আন্তর্জাতিক চুক্তিতে সংজ্ঞায়িত করা হয়নি।
জেসিএস এক বিবৃতিতে বলেছে, "তাৎক্ষণিক হুমকির প্রতিক্রিয়ায় কৌশলগত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য আমাদের সামরিক বাহিনী বিমান বাহিনীর ফাইটার জেট মোতায়েন করেছে এমনকি চীন এবং রুশ বিমানগুলি কাদিজে প্রবেশ করার আগেই।"
সোওলের ইয়োনহাপ সংবাদ সংস্থা নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক "পর্যবেক্ষকদের" বরাত দিয়ে জানিয়েছে, বেইজিং এবং মস্কো "একটি সম্মিলিত বিমান মহড়ায় সম্পৃক্ত " বলে মনে হচ্ছে।
জাপানের জয়েন্ট স্টাফ জানিয়েছে যে বুধবার সকালে চীনের দুটি এইচ-৬ বোমারু বিমান "জাপান সাগরে প্রবেশ করে এবং তারপর উত্তরে উড়ে যায়"।