রবিবার বিশ্বকাপ গ্রুপ-এফ এর ম্যাচে বেলজিয়ামের বিরুদ্ধে বিস্ময়করভাবে ২-০ গোলে বিজয়ী হয়েছে মরক্কো। আবদেলহামিদ সাবিরি এক অবিশ্বাস্য অ্যাঙ্গেল থেকে গোল করেন এবং সতীর্থ সাবস্টিটিউট জাকারিয়া আবুখলাল অতিরিক্ত সময়ে দ্বিতীয় গোলটি করেন।
কর্নার ফ্ল্যাগের কাছ থেকে সাবিরির ফ্রি কিকটি বেলজিয়ামের গোলকিপার থিবট কোর্টোয়া’র প্রতিরোধ ভেঙে ৭৩ মিনিটে গোলপোস্টে ঢুকে যায়। ফলে বিশ্বকাপের আসরে মরক্কোর মাত্র তৃতীয়বারের মত বিজয়টি নিশ্চিত হয়।
স্কোরে সমতা ফেরানোর চেষ্টায় বেলজিয়ামের আক্রমণের গতিপথ পাল্টে, হাকিম জিয়েখ এর পাস-এ আবুখলাল আবারও মরক্কোর পক্ষে বল বেলজিয়ামের নেটে পাঠিয়ে দেন।
প্রথমার্ধের একেবারে শেষেও একবার জিয়েখ-এর ফ্রি কিক পেনাল্টি এরিয়ার সবাইকে ফাঁকি দিয়ে কোর্টোয়াকে পেরিয়ে গোলে ঢুকে গিয়েছিল। তবে ভিএআর থেকে দেখা যায় যে ক্যাপ্টেন রোমেইন সাইস অফসাইড ছিলেন।
কোস্টারিকা ১, জাপান ০
বিশ্বকাপের শেষ ১৬-তে পৌঁছানোর একটি সুযোগ হাতছাড়া করে ফেলেছে জাপান। খেলার পূর্ণ সময়ের ১০ মিনিট বাকি থাকতে কিশার ফুলার-এর গোলটি কোস্টারিকাকে আকস্মিক জয় এনে দেয়। কোস্টারিকার পক্ষে ১-০ স্কোরে শেষ হওয়া ম্যাচটিতে কোস্টারিকার কোন সম্ভাবনা ছিল না বললেই চলে।
জার্মানীর বিরুদ্ধে নিজেদের আকস্মিক জয়ের গতিবেগ ধরে রাখতে পারেনি জাপান। অপরদিকে, স্পেনের বিরুদ্ধে নিজেদের শেষ ম্যাচে ৭-০ স্কোরের নির্মম পরাজয়ের পর আজকের ম্যাচে কোস্টারিকা প্রাণপণে লড়াই করেছে। তাদের বিরুদ্ধে তেমন কৌশল দেখাতে ব্যর্থ হয়ে, হারানো সুযোগগুলোর জন্য জাপানের কাছে অনুতাপ করা ছাড়া আর কিছুই বাকি নেই।
ম্যাচটির ধারাবাহিকতার বিপরীতে যেয়ে, কোস্টারিকা পুরো ম্যাচে নিজেদের একমাত্র শট অন টার্গেটটি করে যখন, ফুলার ডি-বক্সের প্রান্ত থেকে একটি বাঁকানো শটে জাপানের গোলকিপার শুইচি গোনডা-কে পরাহত করে বল নেটে জড়িয়ে জাপানকে স্তব্ধ করে দেন।
ম্যাচটি রক্ষায় জাপান কঠোর লড়াই করলেও, কোন সুযোগ তৈরি করতে তাদের বেগ পেতে হয়েছে এবং খেলার অন্তিম মুহুর্তগুলোতে তাদের ঘাবড়ে যেতে দেখা যায়।
ম্যাচটির এই ফলাফল জাপানকে নকআউট পর্বে পৌঁছানোর জন্য এক কঠোর চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি করেছে। গ্রুপ-ই তে বৃহস্পতিবার জাপানের শেষ প্রতিদ্বন্দ্বী স্পেন।