কাতার বিশ্বকাপে ইরানের ফুটবল দলটি সোমবার ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে তাদের উদ্বোধনী ম্যাচের শুরুতে নিজেদের জাতীয় সংগীত গাইতে অস্বীকৃতি জানায়। আপাতদৃষ্টিতে মনে হয়েছে, এর মাধ্যমে তারা নিজেদের দেশের ব্যাপক বিক্ষোভে সরকারের সহিংস দমনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদরত ভক্তদের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করেছেন।
অনেক ইরানি, তাদের দলের বিরুদ্ধে দেশটির শিয়া মুসলিম ধর্মীয় শাসনের পক্ষ অবলম্বনের অভিযোগ করেছেন। ইরানের ডজনকয়েক সুপরিচিত বিশিষ্ট ব্যক্তি, খেলোয়াড় ও শিল্পী বিক্ষোভকারীদের প্রতি সমর্থন প্রকাশ করার পরও ইরানি ফুটবল টিম ধর্মীয় শাসনের পক্ষ অবলম্বন করেছে বলে অভিযোগ তাদের।
পারস্য সাগরের একপাশে কাতার ও অপরপাশে ইরান অবস্থিত। কাতারে যাত্রার আগে ইরানের ফুটবল দলটি দেশটির কট্টরপন্থী প্রেসিডেন্ট ইবরাহিম রাইসির সাথে সাক্ষাৎ করে। রাস্তাঘাটে যখন বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি বিরাজ করছে, তখন রাইসির সাথে খেলোয়াড়দের ছবিগুলো, যেগুলোর একটিতে এক খেলোয়াড়কে রাইসির সামনে কুর্নিশ করতে দেখা যাচ্ছিল, সেগুলো সামাজিক মাধ্যমে ব্যাপকভাবে পোস্ট করা হয়।
ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে নিজেদের উদ্বোধনী ম্যাচের আগে ইরানের খেলোয়াড়রা জাতীয় সংগীতের জন্য সারিবদ্ধভাবে দাঁড়ান। কিন্তু জাতীয় সংগীত বেজে উঠলেও, তারা চুপ করে ছিলেন। ম্যাচের আগেই তারা এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন।
জাতীয় সংগীত বেজে ওঠার সময়ে খেলোয়াড়দের চুপ করে দাঁড়িয়ে থাকার ঘটনাটি ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন সম্প্রচার করেনি।
ইরানের জাতীয় ফুটবল দলের ক্যাপ্টেন এহসান হাজসাফি রবিবার তার দেশের “শোকসন্তপ্ত পরিবারগুলোর”প্রতি সমবেদনা প্রকাশ করেন।
তিনি বলেন, “আমাদের এটা মানতে হবে যে আমাদের দেশের পরিস্থিতি ঠিক নেই এবং আমাদের মানুষজন খুশি নয়। আমরা এখানে রয়েছি কিন্তু তার মানে এই নয় যে আমরা তাদের কন্ঠস্বর হব না বা তাদের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করব না।”