তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট সাই ইং-ওয়েন শনিবার বলেন, তার জীবনের লক্ষ্য ছিল দ্বীপটি যেন এর জনগণের মালিকানাধীন থাকে, তা নিশ্চিত করা। চীনকে কড়াভাবে প্রত্যাখান করে তিনি বলেন, তাইওয়ানের অস্তিত্ব কারও জন্য উসকানি নয়।
চীনের রাষ্ট্রপতি শি জিনপিং এর তৃতীয় নেতৃত্বের মেয়াদ অর্জনের এক মাস পরে, তাইওয়ানে ২৬ শে নভেম্বর স্থানীয় নির্বাচন হতে যাচ্ছে। শি, বেইজিংয়ের কর্তৃত্ব মেনে নেওয়ার জন্য গণতান্ত্রিকভাবে শাসিত দ্বীপটির ওপর সামরিক চাপ বাড়িয়েছেন।
যদিও মেয়র এবং কাউন্সিলরদের নির্বাচন অভ্যন্তরীণ বিষয়গুলি নিয়েই হয়, তবু সাই মধ্য তাইপেইয়ের একটি সমাবেশে হাজার হাজার উত্সাহী সমর্থককে বলেন, অনেক কিছু ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। এই প্রথমবারের মতো তিনি এই প্রচারাভিযানে চীনের বিরুদ্ধে স্পষ্টভাবেই চলে গেছেন ।
সাই বলেন, চীনের অধীনে স্বায়ত্তশাসনের জন্য শি'র 'এক দেশ, দুই ব্যবস্থা' প্রস্তাবের কাছে তিনি 'আত্মসমর্পণ' করেননি এবং তার নেতৃত্বে আরও বেশি সংখ্যক দেশ তাইওয়ানের গণতন্ত্র ও নিরাপত্তাকে শান্তির চাবিকাঠি হিসেবে বিবেচনা করে।
তার ক্ষমতাসীন ডেমোক্রেটিক প্রগ্রেসিভ পার্টির (ডিপিপি) সমাবেশে তিনি আরও বলেন, তাইওয়ান এবং তাইওয়ানের জনগণের স্বাধীনতা ও গণতন্ত্রের উপর জোর দেওয়া কারও উস্কানি নয়।
যুক্তরাষ্ট্র কংগ্রেসের হাউস স্পিকার ন্যান্সি পেলোসির তাইপেই সফরের পর, আগস্ট থেকে চীন সংকীর্ণ তাইওয়ান প্রণালীতে প্রায় প্রতিদিনই ফাইটার জেট উড়ানসহ বিভিন্ন সামরিক কার্যক্রম চালাচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন আগামী সপ্তাহে শি'র সঙ্গে তাইওয়ান প্রসঙ্গে বৈঠক করবেন।