রবিবার তালিবান আন্দোলনের প্রতিষ্ঠাতা মোল্লা ওমরের সমাধিস্থল প্রকাশ করা হয়েছে। ওমরের মৃত্যু ও সমাধিস্থল অনেক বছর ধরে গোপন রাখা হয়েছিল।
২০০১ সালে যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন অভিযানের মাধ্যমে তালিবানকে ক্ষমতা থেকে উৎখাত করার পর ওমরের স্বাস্থ্য এবং তার অবস্থান সম্পর্কে গুজব ছড়িয়ে পড়ে। ২০১৫ সালে তারা স্বীকার করে যে, তিনি ২ বছর আগে মারা গেছেন।
তালিবান মুখপাত্র জাবিহুল্লাহ মুজাহিদ রবিবার এএফপিকে বলেছেন, আন্দোলনের সিনিয়র নেতারা জাবুল প্রদেশের সুরি জেলার ওমরজো-র কাছে তার সমাধিস্থলে একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন।
মুজাহিদ বলেন, “যেহেতু চারপাশে প্রচুর শত্রু ছিল এবং দেশটি দখল করা হয়েছিল, তাই সমাধিটির ক্ষতি এড়াতে এটি গোপন রাখা হয়েছিল।” “শুধুমাত্র পরিবারের ঘনিষ্ঠ সদস্যরা জায়গাটি সম্পর্কে অবগত ছিলেন।”
কর্মকর্তাদের প্রকাশিত ছবিতে দেখা যায়, তালিবান নেতারা সাদা ইটের একটি সাধারণ সমাধির চারপাশে জড়ো হয়েছে। সমাধিটি নুড়ি পাথর এবং সবুজ রঙ করা লোহার বেড়া দিয়ে ঘেরা বলে মনে হচ্ছে।
মৃত্যুর সময় ওমরের বয়স ছিল প্রায় ৫৫ বছর। ১৯৯৩ সালে তিনি তালিবান প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। দশকব্যাপী সোভিয়েত আগ্রাসনের ফলে ছড়িয়ে পড়া গৃহযুদ্ধের আঞ্চলিক প্রতিরোধ হিসেবে তিনি তালিবান প্রতিষ্ঠা করেছিলেন।
তার নেতৃত্বে তালিবান ইসলামি শাসনের একটি অত্যন্ত কঠোর সংস্করণ প্রবর্তন করে। এর অধীনে নারীদেরকে গৃহবন্দি করা হয়, এছাড়া মৃত্যুদণ্ড এবং বেত্রাঘাতসহ কঠোর প্রকাশ্য শাস্তি প্রবর্তন করা হয়।
পাঞ্জশির প্রদেশের তথ্য ও সংস্কৃতির প্রধান নাসরুল্লাহ মালাকজাদা সমাধিটি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করেছেন এবং এটি যা অক্ষত আছে তা দেখানোর জন্য একটি ভিডিও প্রকাশ করেছেন।