উত্তর কোরিয়া রেকর্ড সংখ্যক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করার পরপরই জাপান রবিবার সাত বছরের মধ্যে তাদের প্রথম আন্তর্জাতিক নৌবহর প্রদর্শনীর আয়োজন করে, আরও ১২টি দেশের নৌবহর নিয়ে। ইতিমধ্যে তাইওয়ানের উপর চাপ বাড়িয়েছে চীন ।
টোকিওর কাছে সাগামি বে-তে নৌবাহিনীর কুচকাওয়াজে ৩৮টি জাহাজের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র, দক্ষিণ কোরিয়া, ব্রিটেন, অস্ট্রেলিয়া, সিঙ্গাপুর, ভারত এবং থাইল্যান্ডের মতো বন্ধুপ্রতীম দেশগুলির ১৮ টি জাহাজ ছিল। ৩৩টি বিমান সাবমেরিন-হান্টিং প্যাট্রোল প্লেন এবং হেলিকপ্টারও দেখা গেছে।
জাপানের হেলিকপ্টার ক্যারিয়ার ইজুমোতে এক বক্তৃতায় প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা বলেন, "যারা নিয়ম লঙ্ঘন করে এবং যারা অন্যান্য দেশের শান্তি ও নিরাপত্তাকে পদদলিত করার জন্য বল প্রয়োগ করবে তাদের জন্য আমাদের অবশ্যই প্রস্তুত থাকতে হবে। বছরের শেষ নাগাদ আমরা একটি নতুন জাতীয় নিরাপত্তা কৌশল প্রণয়ন করব এবং আমাদের প্রতিরক্ষা সক্ষমতা ব্যাপকভাবে জোরদার করা হবে।"
রাষ্ট্রদূত রাহম ইমানুয়েল এবং নৌবাহিনীর সিনিয়র কমান্ডারদের সাথে দেখা করার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের নৌবাহিনীর রণতরী ইউএসএস রনাল্ড রিগ্যানে যাওয়ার আগে কিশিদা ইজুমোতে বিশিষ্ট ব্যক্তিদের আমন্ত্রণ জানান।
কিশিদার লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি পাঁচ বছরের মধ্যে এই প্রথম জাপানের প্রতিরক্ষা বাজেট দ্বিগুণ করে মোট দেশজ উৎপাদনের প্রায় ২ শতাংশে উন্নীত করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।
উত্তর কোরিয়া বৃহস্পতিবার সহ একটি সন্দেহজনক দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণের মধ্যে এই দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা বাড়ে। এই নজীরবিহীন উৎক্ষেপণের কারণে জাপানে জরুরী আশ্রয় সতর্কতা জারি করা হয়।
জাপানের প্রতিরক্ষা ব্যয় পরিকল্পনার সমালোচনা করে চীন প্রদর্শনীতে যোগ দেওয়ার আমন্ত্রণ প্রত্যাখ্যান করেছে। ইউক্রেনে আগ্রাসনের কারণে রাশিয়াকে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি।
(ইয়োকোসুকা থেকে টিম কেলি প্রতিবেদনটি তৈরি করেছেন, উইলিয়াম ম্যালার্ড এটি সম্পাদনা করেছেন)