অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

ইরানকে অস্থিতিশীল করার যুক্তরাষ্ট্রের প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে, বলেছেন প্রেসিডেন্ট রাইসি


ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি ৪ নভেম্বর, ২০২২ তারিখে তেহরানে অবস্থিত যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক দূতাবাসের সামনে এক বার্ষিক সমাবেশে জনতার উদ্দেশ্যে ভাষণ দেন।
ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি ৪ নভেম্বর, ২০২২ তারিখে তেহরানে অবস্থিত যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক দূতাবাসের সামনে এক বার্ষিক সমাবেশে জনতার উদ্দেশ্যে ভাষণ দেন।

প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি বলেছেন, ঐ ইসলামি প্রজাতন্ত্রে ২০১১ সালের আরব অভ্যুত্থানের পুনরাবৃত্তি ঘটানোর যুক্তরাষ্ট্রের চেষ্টা ব্যর্থ হবার পর, ইরানের শহরগুলো

"নিরাপদ ও সুস্থ" আছে। ইরানে ৫০ তম দিনের মত বিক্ষোভ অব্যাহত থাকার প্রেক্ষাপটে সে দেশের প্রচারমাধ্যম এ খবর দেয়।

সেপ্টেম্বরে এক কুর্দি ইরানি তরুনীর মৃত্যুর পর যে বিক্ষোভ শুরু হয়েছিল তা দমন করার জন্য ইরানের ধর্মীয় নেতৃত্ব চেষ্টা করেছে। হিজাব পরার কঠোর আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে নৈতিকতা পুলিশ সেই তরুণীকে আটক করেছিল।

১৯৭৯ সালের ইসলামী বিপ্লবের পর থেকে এ নাগাদ দেশটিতে ছড়িয়ে পড়া অস্থিরতার সবচেয়ে গুরুতর ঢেউয়ে কয়েক শত মানুষ নিহত হয়েছে বলে অধিকার কর্মীরা জানাচ্ছেন। ১৯৭৯ সালের ঐ বিপ্লবের মধ্য দিয়ে যুক্তরাষ্ট্র সমর্থিত শাহকে উৎখাত করা হয়েছিল।

ইরান কর্তৃপক্ষ এই সপ্তাহে তেহরানে উগ্রপন্থী ছাত্রদের নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাস দখলের বার্ষিকী উদযাপন করার সময়, রাষ্ট্রপতি জো বাইডেন ইরানের বর্তমান বিক্ষোভকারীদের সমর্থন করে বলেন, "আমরা ইরানকে মুক্ত করতে যাচ্ছি। খুব শীঘ্রই তারা নিজেদের মুক্ত করবে।"

যাচাই করা সম্ভব হয়নি এমন কিছু ভিডিও ফুটেজ অনুযায়ী, ছাত্র ও নারীরা বর্তমান অনেক বিক্ষোভের নেতৃত্ব দিয়েছে। আরও দেখা যায়, কঠোর পোশাক বিধির বিরোধিতা করে নারীরা পর্দা ফেলে দিয়েছে এবং তা পোড়াচ্ছে।

শুক্রবার চার ঘণ্টার বৈঠকে একদল শিক্ষার্থীকে রাইসি বলেন,

"আমেরিকান এবং অন্যান্য শত্রুরা লিবিয়া ও সিরিয়ার মতো একই পরিকল্পনা বাস্তবায়নের মাধ্যমে ইরানকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করেছিল, কিন্তু তারা ব্যর্থ হয়েছে।"

লিবিয়ায় এক গণঅভ্যুত্থানের ফলে ২০১১ সালে নেটোর হস্তক্ষেপ এবং বিদ্রোহী যোদ্ধারা লিবিয়ার নেতা মুয়াম্মার গাদ্দাফিকে উৎখাত ও হত্যা করে।

সিরিয়ায় ইরানের মিত্র প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদ গণবিক্ষোভের মুখে পড়ে এবং দেশটিতে ১১ বছর ধরে সংঘাত চলে আসছে।

ইরানে সাম্প্রতিক সময়ে বিক্ষোভ আর রক্তপাতের ঘটনা চলছেই। সবচেয়ে ভয়াবহ রক্তপাত হয়েছে ইরানের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় সিস্তান-বালুচিস্তান প্রদেশে, যেখানে শিয়া অধ্যুষিত মুসলিম দেশটির সুন্নি সংখ্যালঘুদের অনেকেই বাস করে।

সিনিয়র সুন্নি ধর্মীয় নেতা মোলাভি আবদোলহামিদ শুক্রবার দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় খাশ শহরে বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর দমন-পীড়ন, পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের সীমান্ত অঞ্চলে বসবাসকারী দরিদ্র সংখ্যালঘু বালুচদের প্রতি সরকারের বৈষম্যের উদাহারণ।

XS
SM
MD
LG