অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

২০৫০ সালের মধ্যে পৃথিবীর প্রধান হিমবাহের এক-তৃতীয়াংশ গলে যাবে


গ্রীনল্যান্ডের কুলুসুক-এর কাছে সূর্য ওঠার সাথে সাথে ভেসে উঠা বরফখণ্ড। ১৬ আগস্ট, ২০১৯। ফাইল ছবি।
গ্রীনল্যান্ডের কুলুসুক-এর কাছে সূর্য ওঠার সাথে সাথে ভেসে উঠা বরফখণ্ড। ১৬ আগস্ট, ২০১৯। ফাইল ছবি।

জাতিসংঘের নতুন একটি সমীক্ষা এই উপসংহারে এসেছে, বর্তমানে যে হারে হিমবাহ গলছে, তা বজায় থাকলে বিশ্বের প্রধান হিমবাগুলোর এক-তৃতীয়াংশ ২০৫০ সালের মধ্যে গলে শেষ হয়ে যাবে।

বৃহস্পতিবার প্রকাশিত এই সমীক্ষাটি, ইন্টারন্যাশনাল ইউনিয়ন ফর কনজারভেশন অফ নেচার (আইইউসিএন) এর সাথে যৌথভাবে পরিচালনা করেছে জাতিসংঘের শিক্ষা, বৈজ্ঞানিক ও সংস্কৃতি সংস্থা-ইউনেস্কো। গবেষণাটি ৫০টি ইউনেস্কো ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইটের হিমবাহের ওপর আলোকপাত করেছে।

এই হিমবাহগুলোর মধ্যে রয়েছে বিশ্বের সবচেয়ে উঁচুতে অবস্থিত হিমবাহ। যেটি চীন-নেপাল সীমান্তে, হিমালয়ের পর্বতশৃঙ্গ মাউন্ট এভারেস্টের কাছে অবস্থিত।দীর্ঘতম হিমবাহটি পাওয়া গেছে আলাস্কায়। আফ্রিকার সবশেষ টিকে থাকা হিমবাহগুলোর মধ্যে রয়েছে কিলিমাঞ্জারো ন্যাশনাল পার্ক এবং মাউন্ট কেনিয়ার হিমবাহগুলো।

ইউরোপ এবং ল্যাটিন আমেরিকার হিমবাহগুলোও বিলুপ্ত হওয়ার আশঙ্কায় রয়েছে।

প্রতিবেদনটি এই উপসংহারে পৌঁছেছে যে, তাপমাত্রা বৃদ্ধি সীমিতকরণের চেষ্টা স্বত্তেও, হেরিটেজ সাইটের হিমবাহগুলো আগামী ২৮ বছরের মধ্যে অদৃশ্য হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। গবেষকরা বলছেন, প্রাক-শিল্প যুগের তুলনায়, তাপমাত্র বৃদ্ধি যদি ১ দশমি ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি না হয়, তবে হেরিটেজ সাইটের বাকি দুই-তৃতীয়াংশ হিমবাহকে এখনো বাঁচানো সম্ভব।

কার্বন নিঃসরণ ব্যাপকভাবে হ্রাস করার পাশাপাশি, ইউনেস্কো হিমবাহ পর্যবেক্ষণ ও সংরক্ষণের জন্য একটি আন্তর্জাতিক তহবিল গঠনের পক্ষে পরামর্শ দিচ্ছে। এই ধরনের একটি তহবিল বিস্তারিত গবেষণাকে সহায়তা করবে, সমস্ত স্টেকহোল্ডারদের মধ্যে পারস্পরিক তথ্য আদান-প্রদানে যোগাযোগ পদ্ধতির উন্নয়নকে উৎসাহিত করবে এবং আগাম সতর্কতা ও দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাসের জন্য ব্যবস্থা স্থাপন করবে।

মিশরের শার্ম আল-শেখ-এ জাতিসংঘের জলবায়ু পরিবর্তন সম্মেলন (কপ-২৭) শুরু হওয়ার মাত্র ৩ দিন আগে প্রকাশিত এই প্রতিবেদন সম্পর্কে ইউনেস্কোর মহাপরিচালক অড্রে আজৌলে বলেছেন, এই প্রতিবেদনটি হলো “একটি পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান।”

এ প্রতিবেদনের কিছু তথ্য রয়টার্স থেকে নেয়া হয়েছে।

XS
SM
MD
LG