উত্তর কোরিয়া সোমবার যুক্তরাষ্ট্র ও দক্ষিণ কোরিয়াকে বড় আকারের সামরিক মহড়া বন্ধ করার দাবি জানিয়েছে। তারা একে একটি উস্কানি বলে অভিহিত করেছে যা পিয়ংইয়ংয়ের কাছ থেকে “আরও শক্তিশালী ফলো-আপ পদক্ষেপ” আনতে পারে।
উত্তর কোরিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় দেশটির সরকারী সংবাদ সংস্থা কেসিএনএ-তে পরিচালিত এক বিবৃতিতে বলেছে,
"কোরীয় উপদ্বীপ এবং এর আশেপাশের পরিস্থিতি যুক্তরাষ্ট্র ও দক্ষিণ কোরিয়ার নিরবচ্ছিন্ন এবং বেপরোয়া সামরিক পদক্ষেপের কারণে আবারও ক্ষমতার জন্য গুরুতর সংঘাতের পর্যায়ে প্রবেশ করেছে।"
যুক্তরাষ্ট্র এবং দক্ষিণ কোরিয়া সোমবার তাদের বৃহত্তম যৌথ সামরিক বিমান মহড়া শুরু করেছে, উভয় পক্ষের শত শত যুদ্ধ বিমান এক সপ্তাহের বেশি সময়ে প্রতিদিন ২৪ ঘন্টা আক্রমণের মহড়া চালিয়ে যাচ্ছে।
ভিজিল্যান্ট স্টর্ম নামে এই অভিযানটি শুক্রবার পর্যন্ত চলবে এবং এতে প্রায় ২৪০টি যুদ্ধ বিমান আরও প্রায় ১৬০০ টি বিমান অংশ নেবে বলে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র বিমান বাহিনী।
ওয়াশিংটন ও সিউল বিশ্বাস করে যে পিয়ংইয়ং ২০১৭ সালের পর প্রথমবারের মতো পারমাণবিক বোমার পরীক্ষা পুনরায় শুরু করতে চলেছে এবং তারা বড় সামরিক
মহড়ার মাধ্যমে পিয়ংইয়ংকে "প্রতিরোধ" করার একটি কৌশল গ্রহণ করেছে মাত্র। বর্তমান ও প্রাক্তন কয়েকজন কর্মকর্তা আশংকা প্রকাশ করেছেন এটি উত্তেজনা আরও বাড়িয়ে তুলতে পারে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়, 'উত্তর কোরিয়া তার সার্বভৌমত্ব, জনগণের নিরাপত্তা ও আঞ্চলিক অখণ্ডতা রক্ষার জন্য বাইরের সামরিক হুমকি থেকে বেঁচে থাকতে প্রয়োজনীয় সব ধরনের ব্যবস্থা নিতে প্রস্তুত।"
একজন অফিসিয়াল কর্মকর্তা সতর্ক করেন যে যুক্তরাষ্ট্রের উস্কানি যদি অব্যহত থাকে তবে তার যথাযথ পদক্ষেপ নেয়া হবে।
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র নেড প্রাইস সোমবার উত্তর কোরিয়াকে আলোচনায় ফিরে আসার আহ্বান পুনর্ব্যক্ত করে বলেন, কোরীয় উপদ্বীপের সম্পূর্ণ পারমাণবিক নিরস্ত্রীকরণের ব্যাপারে তাদের নীতির পরিবর্তন হয়নি।