বর্তমানে বন্ধ থাকা হংকং-এর দুটি গণমাধ্যম আউটলেটের দুজন প্রাক্তন প্রধান সম্পাদকের “রাষ্ট্রদ্রোহী” বিষয়বস্তু প্রকাশের অভিযোগে বিচার শুরু হয়েছে। হংকং-এ এটি সাংবাদিকদের সর্বসাম্প্রতিক বিচার।
চুং পুই-কুয়েন (৫২) এবং প্যাট্রিক লাম (৩৪)-কে স্ট্যান্ড নিউজের মূল কোম্পানি বেস্ট পেন্সিল লিমিটেডের সাথে যৌথভাবে “রাষ্ট্রদ্রোহমূলক লেখা প্রকাশ ও কপি বের করার ষড়যন্ত্র”-র দায়ে অভিযুক্ত করা হয়েছিল।
গত ১০ মাস ধরে আটক থাকা এই দুজন সাংবাদিক নিজেদের নির্দোষ দাবি করেছেন। দোষী সাব্যস্ত হলে তাদের ২ বছরের জেল হতে পারে।
স্ট্যান্ড নিউজ ছিল একটি জনপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল। এটি হংকং-এর গণতন্ত্র সংক্রান্ত বিক্ষোভ এবং পরবর্তীতে কঠোর হস্তে এর দমনের বিস্তারিত এবং প্রায়শই সহাভূতিপূর্ণ খবর প্রকাশ করতো।
গত বছরের শেষের দিকে ন্যাশনাল সিকিউরিটি পুলিশ তাদের কার্যালয়ে অভিযান চালিয়ে কোম্পানির ৬ কোটি ১০ লাখ হংকং ডলার (৭৮ লাখ ইউএস ডলার) মূল্যের সম্পদ জব্দ করেছে।
স্ট্যান্ড নিউজ পরে বন্ধ হয়ে যায় এবং এর বিষয়বস্তু মুছে ফেলে।
প্রসিকিউটররা চুং এবং লামকে স্ট্যান্ড নিউজে প্রকাশিত ১৭টি নিবন্ধ এবং ৩টি ভিডিওতে কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে “বিদ্বেষ উসকে দেয়ার” অভিযোগ করেন।
১৯৫০ এবং ১৯৬০ এর দশকে সামাজিক অস্থিরতার সময়কালে চীনপন্থী বামপন্থী সংবাদপত্রের বিরুদ্ধে ঔপনিবেশিক ব্রিটেন রাষ্ট্রদ্রোহের অস্ত্র ব্যবহার করে।
২০১৯-এর বিশাল এবং কখনো কখনো হিংসাত্মক গণতান্ত্রিক সমাবেশের পরে পুলিশ আইনটি ব্যবহার করার আগে কয়েক দশক ধরে আইনটি অব্যবহৃত ছিল।
এই বছরের শুরুর দিকে রিপোর্টার্স উইদাউট বর্ডার্সের বার্ষিক প্রেস ফ্রিডম র্যাংকিং-এ হংকং ৬৮ ধাপ নেমে ১৪৮ তম স্থানে আসে। হংকং-এর আগের স্থানটি ফিলিপাইন এবং পরের স্থানটি তুরস্কের।
২০২২ সালে আরএসএফ-এর প্রথম প্রতিবেদনে এশিয়ার সবচেয়ে স্বাধীন গণমাধ্যমের কিছু ছিল হংকং-এ। বিশ্বব্যাপী তখন হংকং-এর স্থান ছিল ১৮ তম।