বুধবার জাতিসংঘের একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত বছরের জাতিসংঘের জলবায়ু পরিবর্তন সম্মেলন বা কোপ২৬-এর সময় জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুদ্ধে লড়াই করার উদ্দেশ্যে নতুন প্রচেষ্টার জন্য যে দেশগুলো একমত হয়েছিল, সেগুলোর মধ্যে মাত্র ছোট্ট একটি অংশ তাদের অঙ্গীকার পূরণ করেছে।
কোপ২৬-এ যুক্ত ১৯৩টি দেশের প্রত্যেকটিই বায়ুমণ্ডলে গ্রিনহাউজ গ্যাস নির্গমন হ্রাস করার পরিকল্পনা তৈরি করেছিল। এই গ্রিন হাউজ গ্যাস বায়ুমন্ডলে তাপ আটকে রাখে। প্রমাণসহ উপস্থাপন করা হয়েছে যে, প্রাক-শিল্পায়ন যুগের চেয়ে পৃথিবীর উষ্ণতা ১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি যাতে না হয় তা ঠিক রাখার জন্য তাদের বিদ্যমান পরিকল্পনাগুলো অপর্যাপ্ত ছিল। বিজ্ঞানীরা বিশ্বাস করেন যে, প্রাক-শিল্পায়ন যুগের তাপমাত্রার চেয়ে ১ দশমিক ৫ ডিগ্রি তাপমাত্র বৃদ্ধি হলো এমন একটি বিন্দু যে বিন্দুতে বিপর্যয়কর জলবায়ু পরিবর্তন অনিবার্য হয়ে ওঠে। অংশগ্রহণকারীরা নিজেদের সংশোধন করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
বুধবার প্রকাশিত প্রতিবেদনের জন্য কর্ম পরিকল্পনাগুলো সংগ্রহ করা হয়েছিল। প্রতিবেদনে দেখা গেছে, ১৯৩ জন্য অংশগ্রহণকারীর মধ্যে মাত্র ২৪ জন নির্গমন হ্রাসে তাদের প্রচেষ্টা বৃদ্ধির পদক্ষেপ নিয়েছে।
জাতিসংঘের পরবর্তী জলবায়ু সম্মেলন কোপ ২৭ মিশরের শারম আল-শেখ-এ শুরু হওয়ার ২ সপ্তাহের কম সময় আগে এই ঘোষণা আসে।
প্রতিবেদনে সতর্ক করা হয়েছে যে, উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন না হলে পৃথিবীর তাপমাত্র ১ দশমিক ৫ ডিগ্রি থেকে অনেক বেশি বৃদ্ধি পাবে। উল্লেখ্য, পরবর্তী শতাব্দীতে তাপমাত্রা ২ দশমিক ১ ডিগ্রি থেকে ২ দশমিক ৯ ডিগ্রি পর্যন্ত বাড়তে পারে।
জলবায়ু বিষয়ক সক্রিয়বদীরা ভয়েস অফ আমেরিকাকে বলেছেন, তারা আশাবাদী যে, নতুন প্রতিবেদনটি কোপ-২৭ এ জরুরি ভিত্তিতে আলোচনার প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরবে।
জাতিসংঘের কর্মকর্তারা বলেছেন, তাদের তরফ থেকে ,তারা নিশ্চিত যে, কোপ-২৭-এ আমন্ত্রিত প্রতিনিধিরা এই মুহূর্তের প্রয়োজনীয়তা বুঝতে পারবেন।